সিএজি নূরুল ইসলামের পদত্যাগ দাবি

সিএজি নূরুল ইসলামের পদত্যাগ দাবি

কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) নূরুল ইসলামের পদত্যাগের দাবি করেছেন ওই প্রতিষ্ঠানে কর্মরতরা। 

কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) নূরুল ইসলামের পদত্যাগের দাবি করেছেন ওই প্রতিষ্ঠানে কর্মরতরা। 

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) এই কর্মকর্তার পদত্যাগ দাবিতে মাঠে নামেন সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

তারা বলেন, কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক পদ, যার মূল উদ্দেশ্য সরকারের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের সহযোগী বর্তমান সিএজি মো. নূরুল ইসলামের মতো দলদাস, চাটুকার, দুর্নীতি পরায়ণ ও অযোগ্য কোনো ব্যক্তি ইতঃপূর্বে এই পদে আসীন হননি। দলীয় অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন এবং স্বৈরাচারের অপকর্ম যেন অডিট রিপোর্টে না আসে, সেজন্য এই অযোগ্য ব্যক্তিকে সিএজি বানানো হয়। 

সিএজি নূরুল ইসলামের কুকীর্তিগুলোর কথা উল্লেখ করে তারা বলেন, শেখ মুজিব ও তার পরিবারের নামে প্রকল্প তৈরি করে জনগণের অর্থ লুটপাট করা হাসিনার শাসনের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল। সিএজি নুরুল ইসলাম মুজিব পরিবারের নামের সাথে সংশ্লিষ্ট কোনো প্রকল্প অডিট না করতে প্রকাশ্য সভায় নির্দেশনা দিয়েছেন। এতে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে এটাই তার যুক্তি। কোটাবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে বিগত ৩০ জুলাই সরকার প্রহসনমূলক শোক পালনের ঘোষণা দেয়। কিন্তু ক্যাডার কর্মকর্তারাসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তথাকথিত শোক পালনে নিস্পৃহ থাকলে সিএজি নূরুল চরম ক্ষুব্ধ হন।

বিসিএস অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি থাকাকালে সিএজি নুরুল সংগঠনের তহবিলের সিংহভাগই মুজিব বন্দনায় ব্যয় করেন। পরবর্তী সময়ে বিজ্ঞাপনের নামে অধস্তন কর্মকর্তাদের দিয়ে বিভিন্ন নিরীক্ষাধীন অফিস থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা চাঁদাবাজি করে সংগ্রহ করেন।

সিএজির জন্য বরাদ্দ করা সরকারি বাসা সম্পূর্ণ ভালো থাকা সত্ত্বেও মেরামতের নামে প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশ করে ১১.৫ কোটি টাকা খরচের নামে বেশিরভাগ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

সবশেষ তারা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার সফল আন্দোলনের পটভূমিতে গা ঢাকা দেন নুরুল ইসলাম। পরবর্তী সময়ে অর্থ উপদেষ্টার সাথে পরিচিতিমূলক অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে প্রকাশ্যে আসেন। তার দুঃশাসন, দুর্নীতি, দলবাজি ও অযোগ্যতায় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের কার্যালয় একটি নিষ্ক্রিয় ও অথর্ব প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। আগামীর বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ তৈরি করতে সিএজি কার্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার সুযোগ আছে। নৈতিকভাবে অবক্ষয়ের চূড়ান্ত নূরুল ইসলামকে দিয়ে কোনো শুভ কিছু অর্জন করা সম্ভব নয়। তাই দেশের স্বার্থে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল নূরুল ইসলামের অপসারণ করা অতীব প্রয়োজন।

এএসএস/কেএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *