নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় সৃষ্ট বিক্ষোভের জেরে পশ্চিমবঙ্গের আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত বুধবার রাতে ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার হলেন আরও তিন জন। এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন মোট ১২ জন। তাদের মধ্যে ১০ জনকে পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। এছাড়া হামলার ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় সৃষ্ট বিক্ষোভের জেরে পশ্চিমবঙ্গের আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত বুধবার রাতে ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার হলেন আরও তিন জন। এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন মোট ১২ জন। তাদের মধ্যে ১০ জনকে পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। এছাড়া হামলার ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার আরজি কর মেডিকেল কলেজে হামলার ঘটনায় নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জেরা করে কলকাতা পুলিশ। এর পর সন্ধ্যায় আরও তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু ছবি প্রকাশ করা হয়। সেই ছবিতে হামলায় অভিযুক্তদের দাগ দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। তাদের সন্ধান দিতে বলে পুলিশ। সেই সূত্রেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আরও কয়েক জনকে আটক করা হতে পারে মনে করা হচ্ছিল। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল।
গত সপ্তাহে আরজি কর মেডিকেল কলেজে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ ওঠে। তার প্রতিবাদে বুধবার গভীর রাতে পথে নামেন মেয়েরা। অভিযোগ, এই কর্মসূচির মাঝেই আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে হামলা চালানো হয়। আন্দোলনের জমায়েত থেকে কয়েকজন চিকিৎসকের ওপর হামলা করেন বলে অভিযোগ ওঠে। হামলা চালানো হয় পুলিশের ওপরেও। অভিযোগ, অনেক ওষুধপত্র নষ্ট করা হয়েছে। ভাঙা হয়েছে সিসি ক্যামেরা, চেয়ার, টেবিল এবং দরজা, জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম। তবে, ওই ভবনের চার তলার সেমিনার হলে যেখানে চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা ঘটেছে, সেখানে কেউ পৌঁছাতে পারেনি বলে দাবি পুলিশের।
তারা জানিয়েছে, ওই ঘর অক্ষতই রয়েছে। এই হামলা নিয়ে তিনটি মামলা দায়ের করেছে কলকাতা পুলিশ। ভাঙচুর, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেছে। তবে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
কেএ