ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে যে ৩ খাবার খাবেন

ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে যে ৩ খাবার খাবেন

১. লেবু

আমরা সবাই জানি আমাদের শরীর রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে। কিন্তু যখন আমরা ব্রাউনি, পাস্তা বা এ ধরনের খাবার খাই, তখন আমাদের অগ্ন্যাশয় কাজ করে, চিনি নিয়ন্ত্রণে ইনসুলিন মুক্ত করে। চিনি বা কার্বোহাইড্রেটের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার আমাদের রক্তকে ঘন করে তুলতে পারে। এটি এমন একটি সমস্যা যা আপনি অবশ্যই এড়াতে চান। 

অতিরিক্ত চিনি বা কার্ব ক্র্যাশের দিকে নিয়ে যায়, যা আপনাকে তৃষ্ণার্ত এবং ক্লান্ত করে তোলে। ধীরে ধীরে এটি হার্ট, কিডনি, বা স্নায়বিক সমস্যাসহ গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্যতালিকায় কিছু  পরিবর্তন বড় প্রভাব ফেলতে পারে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খেতে পারেন এই ৩ খাবার-

১. লেবু

লেবু আমাদের সবার বাড়িতেই পাওয়া যাবে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার কাজে এটি বিস্ময়কর সাহায্য করতে পারে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এবং কম গ্লাইসেমিক সূচক সমৃদ্ধ লেবু খাবারের তালিকায় একটি দুর্দান্ত সংযোজন। বিশেষজ্ঞদের মতে, লেবুতে থাকা ফাইবার কার্বোহাইড্রেট হজমকে ধীর করে দেয়, যা ফলস্বরূপ রক্তে গ্লুকোজ নিঃসরণকে ধীর করে দেয়। এটি খাবারের পরে হঠাৎ চিনির স্পাইক প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে। ডায়েটে লেবু যোগ করার একটি সহজ উপায় হলো খাবারের আগে বা পরে এক গ্লাস লেবু পানি পান করা।

২. ব্ল্যাকবেরি

ব্ল্যাকবেরি যা আমাদের দেশে জাম নামে পরিচিত। এই ফল বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ সমৃদ্ধ যা ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে। যে কারণে জাম খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়। এর কম গ্লাইসেমিক সূচক ধীরে ধীরে রক্ত ​​​​প্রবাহে গ্লুকোজ ছেড়ে দেয়, যা সুগারের স্পাইক প্রতিরোধে সহায়তা করে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে, আপনার ডায়েটে ব্ল্যাকবেরি বা জাম রাখার চেষ্টা করুন। তবে এই ফল শুধু গ্রীষ্মকালেই পাওয়া যায়। তাই এর মৌসুমে যতটা সম্ভব খাওয়ার চেষ্টা করুন।

৩. দারুচিনি

আমাদের রান্নাঘরে দারুচিনি একটি পরিচিত মসলা। কিন্তু আপনি কি জানেন যে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করতে পারে? দারুচিনিতে একটি যৌগ রয়েছে যা ইনসুলিনের অনুকরণ করে, আপনার শরীরকে আরও কার্যকরভাবে গ্লুকোজ ব্যবহার করতে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। খাবারের আগে এক চিমটি দারুচিনি মিশিয়ে এক গ্লাস পাি  পান করলে গ্লুকোজের মাত্রা স্থিতিশীল হতে পারে। এছাড়াও বিভিন্ন ফলের সঙ্গে দারুচিনি গুঁড়া ছিটিয়ে খেতে পারেন।

এইচএন

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *