ঘরের মাঠে শেষ টেস্ট খেলেই ফেললেন রোহিত-কোহলি! 

ঘরের মাঠে শেষ টেস্ট খেলেই ফেললেন রোহিত-কোহলি! 

সময়টা একেবারেই পক্ষে নেই রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির। দেশের মাঠে ২০২৩ সালের পর থেকে সবচেয়ে বেশি টেস্ট হারা দলের নাম এখন ভারত। অথচ এই দলটিই বিগত ১২ বছর এবং ১৮ সিরিজ ধরে ঘরের মাঠে ছিল অজেয়। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, ভারতের দুর্গে ফাটল ধরেছে ব্যাপক আকারে। এরইমাঝে খবর বেরিয়েছে, রোহিত-কোহলির ভাগ্য নিয়ে নতুন করে আলাপ তুলেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। 

সময়টা একেবারেই পক্ষে নেই রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির। দেশের মাঠে ২০২৩ সালের পর থেকে সবচেয়ে বেশি টেস্ট হারা দলের নাম এখন ভারত। অথচ এই দলটিই বিগত ১২ বছর এবং ১৮ সিরিজ ধরে ঘরের মাঠে ছিল অজেয়। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, ভারতের দুর্গে ফাটল ধরেছে ব্যাপক আকারে। এরইমাঝে খবর বেরিয়েছে, রোহিত-কোহলির ভাগ্য নিয়ে নতুন করে আলাপ তুলেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। 

অস্ট্রেলিয়া সফরের পরেই ভারতীয় দলের কিছু সিনিয়র ক্রিকেটারের ভবিষ্যত ঠিক হয়ে যাবে। আগামী দিনে অন্তত টেস্ট ফরম্যাটে জাতীয় দলের দরজা পাকাপাকি ভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের জন্য। নিউজিল্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে চাইছে বিসিসিআই। সেই বিবেচনায় পরবর্তী টেস্ট বিশ্বকাপের আগে ধীরে ধীরে সিনিয়রদের সরিয়ে দেওয়ার পথে হাঁটতে পারে তারা।

ভারতের প্রভাবশালী গণমাধ্যম প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) তুলে এনেছে এমনই কিছু তথ্য। যেখানে দাবি করা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়া সফর রোহিত, কোহলি, রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং রবীন্দ্র জাদেজার জন্য টেস্ট ফরম্যাটে নিজেদের টিকিয়ে রাখার শেষ সুযোগ হতে পারে। প্রত্যেকেই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার একেবারেই শেষ দিকে। খারাপ ফল হলেই কোপ পড়তে পারে তাদের উপর।

আগামী দু’-এক দিনের মধ্যেই বোর্ডের কর্তাদের সঙ্গে সাধারণ আলোচনা হতে পারে নির্বাচক প্রধান অজিত আগারকার, কোচ গৌতম গম্ভীর এবং অধিনায়ক রোহিত শর্মার। তবে সেখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

বোর্ডের এক সূত্র পিটিআইকে জানায়, ‘নিউজিল্যান্ড সিরিজের ফলাফল নিয়ে আলোচনা হবে। ১০ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে দল রওনা দেওয়ার আগে সাধারণ একটা আলোচনা। এই হার যে বড়সড় ধাক্কা তাতে সন্দেহ নেই। তবে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ সামনেই রয়েছে। দলও ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে বদলের কোনও সম্ভাবনা নেই।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘যদি ভারত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যেতে না পারে, তা হলে নিশ্চিত থাকুন চার সিনিয়র ক্রিকেটার পরবর্তী ইংল্যান্ড সফরের বিমানে উঠবে না। হয়তো ওই চার জন দেশের মাটিতে শেষ টেস্ট খেলে ফেলল।’ 

উল্লেখ্য, বিশ্ব টেস্ট ফাইনালের পরেই ইংল্যান্ডে পাঁচ টেস্টের সিরিজ খেলবে ভারত, যা পরের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রের শুরু করবে। 

বোর্ডের সেই শীর্ষ কর্তার খবর, ২০১১ সালের ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাইছে না বোর্ড। সে বারও প্রবীণ ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া দল হঠাৎই খারাপ ফল করতে শুরু করেছিল। ২০১২ সালে সেই সূত্র ধরে রাহুল দ্রাবিড় ও ভিভিএস লক্ষ্মণ অবসর নেন। শচীন খেলা ছেড়ে দেন পরের বছরেই। তাই আগারকার এবং গম্ভীর দলের চার সিনিয়র ক্রিকেটারের সঙ্গে কথা বলে তাদের পরিকল্পনার কথা জানতে চাইতে পারেন।

চার জন সরে গেলেও ভারতের পরবর্তী প্রজন্ম মোটামুটি তৈরি। সাই সুদর্শন, দেবদত্ত পাড়িক্কলেরা টেস্ট দলে ঢুকতে পারেন মিডল অর্ডারে। রবি অশ্বিনের বদলে ওয়াশিংটন সুন্দরকে আগামী ১০ বছরের জন্য ভাবা হচ্ছে। জাদেজার জায়গায় অক্ষর প্যাটেল বড় ভরসা। আর রোহিতের রেখে যাওয়া ওপেনিং পজিশনের জন্য তৈরি থাকবেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। 

জেএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *