উগান্ডায় একটি চার্চে বজ্রপাতে ১৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। দেশটির উত্তরাঞ্চলের দুর্গম লামো বিভাগে গতকাল শনিবার এ ঘটনা ঘটে। বজ্রপাতের সময় অনেক মানুষ চার্চে প্রার্থনা করছিলেন। ঠিক তখনই বজ্র তাদের ওপর আঘাত হানে। এতে ১৪ জন নিহত হওয়ার পাশপাশি অন্তত ৩৪ জন আহত হয়েছেন। নিহত-আহত কারও পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
উগান্ডায় একটি চার্চে বজ্রপাতে ১৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। দেশটির উত্তরাঞ্চলের দুর্গম লামো বিভাগে গতকাল শনিবার এ ঘটনা ঘটে। বজ্রপাতের সময় অনেক মানুষ চার্চে প্রার্থনা করছিলেন। ঠিক তখনই বজ্র তাদের ওপর আঘাত হানে। এতে ১৪ জন নিহত হওয়ার পাশপাশি অন্তত ৩৪ জন আহত হয়েছেন। নিহত-আহত কারও পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
এ ব্যাপারে এক বিবৃতিতে দেশটির পুলিশ বলেছে, “ভিকটিমদের পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। শনিবার বিকাল ৫টার দিকে বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর তারা প্রার্থনার জন্য জড়ো হন। সাড়ে ৫টার দিকে বজ্র আঘাত হানে।”
যেখানে মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে সেখানে একটি শরণার্থী ক্যাম্প অবস্থিত। আহত-নিহতরা শরণার্থী ক্যাম্পের বাসিন্দা বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটি দক্ষিণ সুদানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত। সেখানে প্রায় ৮০ হাজার মানুষ বাস করেন। তাদের সবাই দক্ষিণ সুদান থেকে এসে এই ক্যাম্পে আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে থাকেন।
২০২০ সালে দক্ষিণ সুদানে আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহযুদ্ধ থেমে যায়। কিন্তু এরপরও এখনো অস্থিরতা কাটেনি।
আফ্রিকার সেন্ট্রাল বেল্টে প্রায়ই বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো অনেক সময় ভয়াবহ হয়।
বিবিসির তথ্য অনুযায়ী ২০২০ সালে উত্তর-পশ্চিম উগান্ডায় বজ্রপাতে ১০ শিশুর মৃত্যু হয়। রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী এর পরের বছর ২০১১ সালে ১৮ শিক্ষার্থী ও তাদের এক শিক্ষক বজ্রপাতে প্রাণ হারান।
সূত্র: সিএনএন
এমটিআই