স্বপ্ন ছিল বিদেশ গিয়ে ভাগ্য পরিবর্তন করবেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়ে বিদেশ যাওয়া হলো না ফখরুল ইসলাম হৃদয়ের।
স্বপ্ন ছিল বিদেশ গিয়ে ভাগ্য পরিবর্তন করবেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়ে বিদেশ যাওয়া হলো না ফখরুল ইসলাম হৃদয়ের।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাতে কোম্পানীগঞ্জের সীমান্তবর্তী উলাল মিয়ার টেকে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় হৃদয় আহত হন। তাকে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফখরুল ইসলাম হৃদয় সেনবাগ উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের নলদিয়া বাজার এলাকার মিয়াজি বাড়ির সৌদি প্রবাসী দুলাল মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, ফখরুল ইসলাম হৃদয়ের বাবা দুলাল মিয়া দীর্ঘদিন সৌদি থাকায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। হৃদয়ের সংসারের হাল ধরতে প্রবাস যাওয়ার কথা। তার বাবা দুলাল মিয়া হৃদয়ের সৌদি আরব যাওয়ার সব ব্যবস্থা করেন। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাতে উলাল মিয়ার টেকে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে হৃদয় মারাত্মক আহত হন। তারপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিহতের খালাতো ভাই মো. আকিব ঢাকা পোস্টকে বলেন, হৃদয় খুব মিশুক ছিল। সবার সাথে হাসিখুশি থাকতো। তার বাবার অসুস্থতার কারণে তাকে বিদেশ যেতে হচ্ছিল। সব আয়োজন শেষ। কিন্তু সে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছে।
হৃদয়ের মামা রফিক জাহাঙ্গীর ঢাকা পোস্টকে বলেন, ছেলেটা সংসারের হাল ধরার কথা ছিল। অথচ আজ সে নেই। তার শোকে বাড়ির কারো দিকে তাকানো যায় না। মোটরসাইকেল অসচেতনতার সঙ্গে চালালে মায়ের বুক খালি হয়।
সেনবাগ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মিজানুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর কথা শুনেছি। তবে এখানে সচেতনতার অভাব রয়েছে। আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ করেনি। যদি অভিযোগ আসে তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
হাসিব আল আমিন/আরকে