দূরপাল্লার বাসে প্রতিদিন সফর করলে কসর করতে হবে?

দূরপাল্লার বাসে প্রতিদিন সফর করলে কসর করতে হবে?

নামাজ ইসলামের ফরজ বিধান। কোনো অবস্থায় নামাজ বিরত থাকার সুযোগ নেই। একজন মানুষ, যতটা ব্যস্ততার মধ্যে পার করুক না কেন নামাজ পড়তেই হয়। চাই নিজের বাড়িতে থাকুন বা সফরে কোথাও যান, নামাজ পড়তেই হয় তাকে। 

নামাজ ইসলামের ফরজ বিধান। কোনো অবস্থায় নামাজ বিরত থাকার সুযোগ নেই। একজন মানুষ, যতটা ব্যস্ততার মধ্যে পার করুক না কেন নামাজ পড়তেই হয়। চাই নিজের বাড়িতে থাকুন বা সফরে কোথাও যান, নামাজ পড়তেই হয় তাকে। 

তবে নিজের বাড়ি এবং দূরে কোথাও সফরে গেলে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে কিছুটা সহজ বিধান দেওয়া হয়েছে ইসলামে। অর্থাৎ, মানুষ যখন নিজের আবাসস্থলে থাকে, তখন পূর্ণাঙ্গ নামাজ আদায় করতে হয়। কিন্তু ভ্রমণে বা সফরে গেলে কসর আদায় করতে হয়।

কসর আদায় করা— আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দার এক ধরনের বড় সুবিধা। কসর করা মানে সংক্ষেপ করা। আর শরিয়াত নির্ধারিত দূরত্বে সফর করলে— তখন নামাজ সংক্ষেপ করাই ইসলামের বিধান।

শরিয়তের দৃষ্টিতে মুসাফির হলে কসর নামাজ পড়তে হয়। আর শরিয়তের দৃষ্টিতে মুসাফির বলা হয়— কোনো ব্যক্তি তার অবস্থানস্থল থেকে ৪৮ মাইল তথা ৭৮ কিলোমিটার দূরে সফরের নিয়তে বের হয়ে— নিজ শহর বা গ্রাম পেরিয়ে গেলেই সে মুসাফির হয়ে যায়। (জাওয়াহিরুল ফিকহ: ১/৪৩৬)

অর্থাৎ, নিজের  এলাকা থেকে বের হয়ে কোথাও যাওয়ার নিয়ত করা ব্যক্তির নামাজ পড়ার নিয়ম হলো- তিনি চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাজ দুই রাকাত (কসর) পড়বেন। আর এইভাবে সংক্ষেপে নামাজ পড়ার ভেতর আল্লাহ তায়ালা কল্যাণ রেখেছেন। 

পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তোমরা যখন জমিনে সফর করবে, তখন তোমাদের জন্য নামাজের কসর করায়— কোনো আপত্তি নেই। (সুরা নিসা, আয়াত: ১০১)

বর্তমানে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের কল্যাণে অনেকেই প্রতিদিন এতোটুকু পরিমাণ রাস্তা পার হয়ে যাতায়াত করেন। বাসা থেকে ৪৮ মাইল তথা ৭৮ কিলোমিটার দূর অতিক্রম করে প্রতিদিন অফিসে যান আবার বাড়িতে আসেন। এক্ষেত্রে সেই ব্যক্তির জন্য এই পরিমাণ রাস্তা নিজের আশপাশের অন্যান্য এলাকার মতো। 

কেউ প্রতিদিন এই পরিমাণ রাস্তা সফর করে অতিক্রম করলেও যদি যেখানে স্থায়ীভাবে বা থাকার নিয়ত না করে তাহলে তাকে নিজ বাসস্থান থেকে ৪৮ মাইল তথা ৭৭.২৫ কিলোমিটার দূরত্বে সফরের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার কারণে কসর নামাজ আদায় করতে হয়।

(রদ্দুল মুহতার : ২/১২৩, হিন্দিয়া : ১/৩৬২, ১/৩৬৩, জাওয়াহিরুল ফিকহ : ১/৪৩৮, ফাতাওয়ায়ে ফকিহুল মিল্লাত : ৪/২৮৩)

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *