আন্দোলনের মুখে বশেফমুবিপ্রবির ভিসির পদত্যাগ 

আন্দোলনের মুখে বশেফমুবিপ্রবির ভিসির পদত্যাগ 

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বাধ্য হয়েই পদত্যাগ করেন তিনি।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বাধ্য হয়েই পদত্যাগ করেন তিনি।

এ বিষয়ে উপাচার্যের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস. এম. ইউসুফ আলী।

ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান। রোববার (১১ আগস্ট) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি বরাবর পদত্যাগপত্র পাঠান তিনি।

পদত্যাগপত্রে অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান উল্লেখ করেন, ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছিল এবং সে অনুসারে আমি আমার দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ সচেষ্ট ছিলাম। বর্তমানে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে আমি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে পদত্যাগ করলাম।’

উপাচার্যের পদত্যাগের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন, উপাচার্য পদত্যাগ করলেও এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পদত্যাগ করেননি।

এদিকে আজ রোববার বিকেল ৫টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের দেওয়া পদত্যাগের ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটামের সময় শেষ হয়। তবে এই সময়ের মধ্যে উপাচার্য, ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রার পদত্যাগ না করায় বিকেল ৫টার পর ঝটিকা মিছিল নিয়ে প্রশাসনিক ভবনে ঢুকে তাদের নামফলক সরিয়ে দেন এবং অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন আন্দোলনকারীরা।

এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর এসএম ইউসুফ আলী, মির্জা আজম হলের প্রভোস্ট পার্থ সারথি দাস, সহকারী প্রক্টর সুমিত কুমার পাল, পরিবহন কমিটির সদস্য হোসাইন মোহাম্মদ আপেল ও কর্মচারী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি পদত্যাগ করেছেন।

ট্রেজারার, রেজিস্ট্রারসহ অন্যান্যরা পদত্যাগ না করা ও কিছু দাবি পূরণ না হওয়ায় আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা।

তারা বলেন, এখন বাংলাদেশ সংস্কার চলছে। আমরা মনে করি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের বাংলাদেশ। এখন সময় এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়কে ঢেলে সাজানোর। তাই সেটাই করছি।

এমজেইউ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *