জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম খান মিলন বলেছেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এই দেশে সংখ্যালঘু বলতে কিছু থাকবে না। এমনকি ইউরোপ আমেরিকার থেকেও বাংলাদেশ এখন অনেক ভালো অবস্থানে আছে। আমরা আমাদের দেশে যারা বাস করি, এদেশের যারা সন্তান তারা সকলেই এদেশের নাগরিক। এদেশে কোনো সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘু নেই। ইতিমধ্যেই জামায়াত সেটা প্রমাণ করেছে।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম খান মিলন বলেছেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এই দেশে সংখ্যালঘু বলতে কিছু থাকবে না। এমনকি ইউরোপ আমেরিকার থেকেও বাংলাদেশ এখন অনেক ভালো অবস্থানে আছে। আমরা আমাদের দেশে যারা বাস করি, এদেশের যারা সন্তান তারা সকলেই এদেশের নাগরিক। এদেশে কোনো সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘু নেই। ইতিমধ্যেই জামায়াত সেটা প্রমাণ করেছে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজবাড়ী জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাইফুল আলম খান মিলন বলেন, আমরা রাত-দিন হিন্দু ভাইদের মন্দিরগুলো পাহারা দিয়েছি। আপনারা দেখেছেন আমাদের জামায়াতের ভাইয়েরা, ছাত্রশিবিরের ভাইয়েরা মন্দিরের সামনে নামাজ আদায় করেছেন। সামনের পূজাতে আমরা হিন্দু ভাইদেরকে বলেছি যে কোনো সহযোগিতা লাগলে আমরা তাদের করবো। আমরা হিন্দু ভাইদের বলেছি আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে, আমরাও তাদের সাথে যোগাযোগ করবো। ইসলামে আছে যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে।
তিনি আরও বলেন, মব জাস্টিস করা যাবে না। জনগণের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়া যাবে না। স্বৈরাচার যে কাজ করেছে আমরা সে কাজ কীভাবে করবো। আপনি, আমি কেন আইন হাতে তুলে নিব। গত পরশু দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফজলুল হলে যে ছেলেটিকে পিটিয়ে মারা হয়েছে এই নৃশংসতা কি মানুষ সহ্য করতে পারে। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে যে ৬ জন জড়িত ছিল তারা নাকি সবাই ছাত্রলীগের। দেশে তারা চাচ্ছে আবার চাক্কা ঘুরিয়ে দিতে। তারা প্রথমত জুডিশিয়াল ক্রু করার চেষ্টা করল,আমাদের ছাত্র ভাইয়েরা সেটা নস্যাৎ করল। আনসার দিয়ে তারা চেষ্টা করল, কিন্তু ছাত্র ভাইয়েরা সেটাও প্রতিহত করল। সে সময় একজন সমন্বয়ক গুরুতর আহত হয়েছিল। সে সিএমএইচএ ভর্তি ছিল। আমাদের আমিরে জামায়াত তাকে দেখতে গিয়েছিলেন।
সাইফুল আলম খান মিলন বলেন, আমাদের এই কষ্টার্জিত স্বাধীনতা আমরা বিলীন হয়ে যেতে দিতে পারি না। আজকে জনগণকে, ছাত্রদেরকে, আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে। এই আন্দোলন জনগণের আন্দোলন, এই আন্দোলন ছাত্রদের আন্দোলন, এই আন্দোলন হিন্দুদের আন্দোলন, এই আন্দোলন বৌদ্ধদের আন্দোলন, এই আন্দোলন-খ্রিস্টানদের আন্দোলন, এই আন্দোলন দেশের সকল মানুষের আন্দোলন।
রাজবাড়ী জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অ্যাডভোকেট খন্দকার নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ফরিদপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মো. বদর উদ্দিন, জামায়াতে ইসলামীর ফরিদপুর অঞ্চলের টিম সদস্য অধ্যাপক আবদুত তওয়াব, শামসুল ইসলাম আল বরাটি।
জেলা জামায়েতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মো. আলিমুজ্জামানের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য মো. জামাল উদ্দিন, রাজবাড়ী জেলা জামায়েতের নায়েবে আমির হাসমত আলী হাওলাদার, জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য হারুন উর রশিদ, ইসলামী ছাত্রশিবির জেলা শাখার সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি হাফেজ হাসিবুল হাসান প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ রাজবাড়ী জেলার দুইজনের প্রত্যেক পরিবারকে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ২ লাখ টাকা করে মোট ৪ লাখ টাকা এবং রাজবাড়ী জেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আহত ১৫ জনের মাঝে মোট ১ লাখ টাকার অনুদান প্রদান করা হয়।
মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/আরএআর