ওড়িশায় আঘাতের পর ছত্তীসগঢ়-মধ্যপ্রদেশের দিকে এগোচ্ছে ‘দানা’

ওড়িশায় আঘাতের পর ছত্তীসগঢ়-মধ্যপ্রদেশের দিকে এগোচ্ছে ‘দানা’

ভারতের ওড়িশা রাজ্যে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় দানা। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) মধ্যরাতে রাজ্যটির ধামারা ও ভিতরকণিকার মধ্যে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়টি। আর এই দুর্যোগের জেরে পশ্চিমবঙ্গের দুই জেলায় প্রবল ঝড়বৃষ্টি হয়েছে।

ভারতের ওড়িশা রাজ্যে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় দানা। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) মধ্যরাতে রাজ্যটির ধামারা ও ভিতরকণিকার মধ্যে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়টি। আর এই দুর্যোগের জেরে পশ্চিমবঙ্গের দুই জেলায় প্রবল ঝড়বৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে ওড়িশায় আঘাতের পর ভারতের অন্য দুই রাজ্য ছত্তীসগঢ় ও মধ্যপ্রদেশের দিকে এগোচ্ছে ‘দানা’। তবে তার আগে এটি প্রবল ঘূর্ণিঝড় থেকে শুধুমাত্র সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।

সংবাদমাধ্যম বলছে, রাত সাড়ে এগারোটা থেকে ধামারায় দানার স্থলভাগের আছড়ে পড়া বা ল্যান্ডফলের প্রক্রিয়া শুরু হয়। সময় এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে ধামারায় দানার শক্তি বাড়তে থাকে।

শুক্রবার সকালে ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শেষ হয়। একশ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড় হচ্ছে। সঙ্গে হচ্ছে প্রবল বৃষ্টি।

ভারতের মৌসম ভবন থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ১০ মিনিটে ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সেই প্রক্রিয়া চলেছে। আর শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে মৌসম ভবন জানিয়েছিল, দানার টেইল বা লেজের অংশ এখন স্থলভাগে প্রবেশ করছে। ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে আরও দুই ঘণ্টা সময় লাগবে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাত থেকেই ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে প্রকৃতির তাণ্ডব। তীব্র ঝোড়ো বাতাস, সেই সঙ্গে অবিরাম বৃষ্টি।

পশ্চিমবঙ্গের ডায়মন্ড হারবারে এখনও পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ৬৪ মিলিমিটার। দীঘায় বৃষ্টি হয়েছে ৩৭ মিলিমিটার। আর হলদিয়ায় ৬০ মিলিমিটার। অন্যদিকে, ওড়িশার চাঁদবালিতে বৃষ্টি হয়েছে ১৪২.৬ মিলিমিটার, ভুবনেশ্বরে ২০.৪ মিলিমিটার, বালেশ্বরে ৪৪.৮ মিলিমিটার এবং পারাদ্বীপে ৭৫.৯ মিলিমিটার।

মৌসম ভবন জানিয়েছে, তীব্র ঘূর্ণিঝড় বা সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম দানা এখন ১০ কিলোমিটার গতিবেগে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোচ্ছে। এখনো ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। কোথাও কোথাও সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার।

মৌসম ভবনের অনুমান, শুক্রবার দুপুরের মধ্যে তীব্র ঘূর্ণিঝড় দানা পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে উত্তর ওড়িশা অতিক্রম করবে। তখন এটি দুর্বল হয়ে সিভিয়ার সাইক্লোন থেকে শুধুমাত্র সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। সেই ঘূর্ণিঝড় তখন ছত্তীসগঢ় ও মধ্য প্রদেশের অভিমুখে এগোবে।

এদিকে ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল আটটা থেকে ভুবনেশ্বর বিমানবন্দর খুলে যাচ্ছে। বিমান ওঠানামা শুরু হয়ে যাবে। আর কলকাতায় বিমান চলবে সকাল আটটা ৪০ মিনিট থেকে। 

দানার তাণ্ডবে ওড়িশার ভদ্রকে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জলোচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। নিচু এলাকা পানিতে ভেসে গেছে। প্রবল ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টিও হচ্ছে। আর পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রবল ঝড় ও বৃষ্টি হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি খুব বেশি গুরুতর নয়।

সূত্র : ডয়চে ভেলে ও টিভি৯

টিএম

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *