শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র করছেন : দুদু

শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র করছেন : দুদু

বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, বাংলাদেশকে নিয়ে এক গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। এ ষড়যন্ত্র করছে পার্শ্ববর্তী দেশ এবং স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। শুধু তাই নয়, এ দেশেও কিছু কুলাঙ্গার আছে যারা বাংলাদেশকে অন্য দেশের হাতে তুলে দিতে চায়। তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, বাংলাদেশকে নিয়ে এক গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। এ ষড়যন্ত্র করছে পার্শ্ববর্তী দেশ এবং স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। শুধু তাই নয়, এ দেশেও কিছু কুলাঙ্গার আছে যারা বাংলাদেশকে অন্য দেশের হাতে তুলে দিতে চায়। তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জিয়াউর রহমান সমাজ কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও সাজা প্রত্যাহারসহ নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এক অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, যে লোকটি ইতোমধ্যে বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানকে অপমানিত করেছে। স্বৈরাচারীদের, ষড়যন্ত্রকারীদের সাহস জুগিয়েছে। এই দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসাকে বাধাগ্রস্ত করেছে। মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত তিনি একটা দুর্নীতিবাজ। অনতিবিলম্বে এই লোকটিকে বিদায় করতে হবে। সেই লোকটা যদি সেখানে বসে থাকে তাহলে বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তাকে বিদায় করা জরুরি। যদি তাকে বিদায় না করে তাহলে কীভাবে বিদায় করতে হয় তা আমাদের জানা আছে।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য তারেক রহমান গত ১৭টা বছর যে লড়াই করেছে অন্য কোনো রাষ্ট্রনায়ক এরকম লড়াই করেছে বলে আমার মনে হয় না। এ দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য তিনি তার জীবনকে বিপন্ন করেছেন। তার মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। এই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি তার জীবনকে বিপন্ন করেছেন, জেল খেটেছেন। তারপরও তিনি এই দেশ নেতাকর্মীদের ছেড়ে চলে যাননি। তিনি প্রতিনিয়ত আন্দোলন সংগ্রামের জন্য নেতাকর্মীদের সাহস জুগিয়েছেন।

তিনি বলেন, স্বৈরাচারের পতন ঘটালেই সবকিছু হয়ে যাবে, এটা কিন্তু ঠিক না। স্বৈরাচারীর পতন হয়েছে কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা অত্যন্ত তৎপর, তাদের হাতে ব্যাংক লুটের টাকা আছে। রাষ্ট্রের টাকা জনগণের টাকা লুট করে রেখেছে। তাদের কাছে অবৈধ অস্ত্র আছে। সেই লুট করা টাকা এবং অবৈধ অস্ত্র দিয়ে তারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। তারা স্বৈরতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে চায়। সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। নির্বাচিত সরকার না আসা পর্যন্ত নিজেদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা করা যাবে না।

অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মাইনুল ইসলাম, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, কৃষক দল নেতা এস কে সাদী, সম্রাট, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রফিকুল ইসলাম রিপন, কারী আবু তাহের প্রমুখ।

ওএফএ/এসএসএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *