বাংলাদেশের লিডের পর বৃষ্টির হানা, মিরপুরে খেলা বন্ধ

বাংলাদেশের লিডের পর বৃষ্টির হানা, মিরপুরে খেলা বন্ধ

ব্যাটিং ব্যর্থতায় ইনিংস ব্যবধানে হারের শঙ্কা জেঁকে বসেছিল। শেষ পর্যন্ত মেহেদী হাসান মিরাজ-জাকের আলীর পাল্টা প্রতিরোধে ঘুরে দাঁড়িয়ে লিড পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে এই মুহূর্তে বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ রয়েছে। 

ব্যাটিং ব্যর্থতায় ইনিংস ব্যবধানে হারের শঙ্কা জেঁকে বসেছিল। শেষ পর্যন্ত মেহেদী হাসান মিরাজ-জাকের আলীর পাল্টা প্রতিরোধে ঘুরে দাঁড়িয়ে লিড পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে এই মুহূর্তে বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ রয়েছে। 

বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেটে ২৬৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজ ৭৭, নাঈম হাসান ১২ রানে ব্যাট করছিলেন। বাংলাদেশের লিড বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ রানে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে সারাদেশেই বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আজ সকাল থেকে মিরপুরও অনেকটা মেঘাচ্ছন্ন ছিল। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে হোম অব ক্রিকেটে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। লাঞ্চ ব্রেকের পর কিছুক্ষণ খেলা চালিয়ে নেওয়া গেলেও বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ায় আপাতত মাঠের লড়াই বন্ধ রয়েছে। 

প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতায় মাত্র ১০৬ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর প্রোটিয়াদের বড় লিডে চাপা পড়েছিল বাংলাদেশ। ইনিংস হার এড়াতে অন্তত ২০২ রান করতে হতো। দলীয় ৪ রানের মাথায় পরপর ২ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর ইনিংস হারের শঙ্কা ভালোভাবেই জেঁকে বসেছিল বাংলাদেশ শিবিরে। তবে গতকাল শেষ বিকেলে মাহমুদুল হাসান জয় ও মুশফিকের পাল্টা প্রতিরোধে লড়াইয়ে ফেরে স্বাগতিকরা। 

আজ (বুধবার) ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিনের সকালটাও ছিল রীতিমত দুঃস্বপ্নের। ৭ ওভারেই টাইগারদের উইকেটের পতন হয় ৩টি। স্কোরবোর্ডে ১২ রান তুলতেই ফিরে গেছেন আগের দিনের অপরাজিত জয় ও মুশফিক। আবারও ব্যর্থ হন লিটন দাস। আবারও ইনিংস হারের শঙ্কা মাথাচাড়া দেয়। অবশ্য এবার দেয়াল হয়ে দাঁড়ান মেহেদী হাসান মিরাজ ও জাকের আলী অনিক। 

সপ্তম উইকেটে এ দুজনে ২৪৫ বলে ১৩৮ রানের রেকর্ড জুটি গড়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যে কোনো উইকেটেই এ জুটিটা সর্বোচ্চ রানের।  দুজনই ব্যক্তিগত ফিফটির দেখা পেয়েছেন। কেশভ মহারাজের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে জাকের ৫৮ রানে ফিরে গেলেও নাঈমকে নিয়ে লিড বাড়ানোর চেষ্টায় আরেক অপরাজিত ব্যাটার মিরাজ।

এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তৃতীয় দিনের শুরুতে ব্যাট করতে নেমেই বিপদ শুরু বাংলাদেশের। আগের দিনে অপরাজিত থাকা মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদুল হাসান জয়ের ওপর নির্ভর করছিল এই টেস্টে বাংলাদেশের ভাগ্য। তবে হতাশ করেছেন তারা।

শুরুতে উইকেটের পেছনে কাগিজো রাবাদার বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জয়। এক বল পরই রাবাদার ইনসুইং বলে বোকা বনে বোল্ড হন মুশফিকুর। টেস্টের প্রথম ইনিংসেও মুশফিক অবশ্য এভাবেই বোল্ড হয়েছিলেন। মুশফিক ৩৩ রানে থামেন এর আগে ৪০ রানে বিদায় নেন জয়। মিরপুরে মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় ক্রিজে ভরসা হয়ে ছিলেন লিটন দাস এবং মেহেদী হাসান মিরাজ। 

এরপরেই অবশ্য লিটন দাস বিদায় নিয়েছেন। কেশব মহারাজের সুইং করা বল লিটনের ব্যাট-গ্লাভস ছুঁয়ে চলে যায় উইকেটরক্ষক কাইল ভেরেইনার হাতে। জোরালো আবেদন করেননি কেউই। তবুরেই ভেনার জোরাজুরিতেই কি না নিতান্ত অনিচ্ছায় এইডেন মার্করাম নিলেন রিভিউ। তাতেই আউট হন লিটন।

এরপর অবশ্য সময়টা জাকির আর মিরাজের। দলের প্রয়োজনে আরও একবার ব্যাট হাতে ত্রাতা হয়েছেন মিরাজ। তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি। ৭ চার ও ১ ছক্কায় এই ফিফটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইনিংস হারের শঙ্কা দূর করেন এই অলরাউন্ডার।

এফআই

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *