শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা আজ

শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা আজ

বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও সাহিত্যে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে স্টকহোমের রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি। আজ শুক্রবার (১১ অক্টোবর) নোবেলের সবচেয়ে আকর্ষণীয় শান্তি পুরস্কার বিজয়ীর নাম জানানো হবে।

বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও সাহিত্যে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে স্টকহোমের রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি। আজ শুক্রবার (১১ অক্টোবর) নোবেলের সবচেয়ে আকর্ষণীয় শান্তি পুরস্কার বিজয়ীর নাম জানানো হবে।

স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ও বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় নরওয়ের রাজধানী অসলোর নোবেল ইনস্টিটিউট থেকে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে।

এ বছর পুরস্কারটির জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে), জাতিসংঘের ত্রাণ কার্যক্রম সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) ও জাতিসংঘের প্রধান অ্যান্তোনিও গুতেরেসকে এগিয়ে রাখা হচ্ছে।

এবার নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য যেসব বিষয় সামনে এসেছে সেগুলো হলো- ইউক্রেন ও মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধ, সুদানে দুর্ভিক্ষ ও জলবায়ু পরিবর্তন সংকট।

নরওয়েজিয়ান নোবেল ইনস্টিটিউট এই বছরের শান্তি পুরস্কারের জন্য মোট ২৮৬ জন প্রার্থীর নাম নিবন্ধন করেছে, যার মধ্যে ১৯৭ জন ব্যক্তি ও সংস্থা রয়েছে ৮৯টি।

১৯০১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মোট ১১৪ বার নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। ১১১ ব্যক্তি ও ৩০ সংস্থা মিলে পুরস্কার বিজয়ীর সংখ্যা ১৪১। ১৯১৭, ১৯৪৪ ১৯৬৩ সালে রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটি তিনবার নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার দপ্তর ১৯৫৪ ও ১৯৮১ সালে দুইবার নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছে। এছাড়া নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে ২৭ স্বতন্ত্র সংস্থা।

নোবেল পুরস্কারের জন্য প্রতি বছর ৩০০ জনের একটি তালিকা তৈরি করা হয়। এরপর যাচাই-বাছাই শেষে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এক বা একাধিক ব্যক্তিকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

১৯০১ সাল থেকে প্রতি বছর এই পুরস্কার দিয়ে আসছে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস। সুইডিশ বিজ্ঞানী ও ডায়নামাইট উদ্ভাবক আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুর ৫ বছর পর থেকে তার নামে ও রেখে যাওয়া অর্থে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। পরে ১৯৬৯ সালে এতে অর্থনীতি যুক্ত হয়।

প্রতি বছর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুর দিবস ডিসেম্বরের ১০ তারিখ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারের অর্থ তুলে দেওয়া হয়। প্রত্যেক ক্ষেত্রে পুরস্কার বিজয়ীরা একটি স্বর্ণপদক, শংসাপত্রসহ একটি ডিপ্লোমা এবং বর্তমানে ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনার পান।

সমাজের ‘নিচ থেকে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন’ করার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশের ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংক ২০০৬ সালে যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন।

কেএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *