স্ত্রী-সন্তান না থাকায় ‘একা’ লাগতো, টাটাকে নিয়ে যা বললেন প্রেমিকা

স্ত্রী-সন্তান না থাকায় ‘একা’ লাগতো, টাটাকে নিয়ে যা বললেন প্রেমিকা

ভারতের টাটা গ্রুপের কর্ণধার রতন টাটা বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতে ৮৬ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। বুধবার রাতে হঠাৎ রতন টাটার মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ হয় ভারত। ‘এমন এক মানুষ, যার কোনো শত্রু নেই’, পোস্ট ভাইরাল হয় সামাজিক মাধ্যম। এত সফল একটা মানুষ, কিন্তু বিয়ে করেননি, নেই সন্তান। সদা সিঙ্গেল রতন টাটা একসময় ভুগতেন একাকিত্বে। যা নিয়ে কথাও বলেছিলেন তিনি প্রাক্তন প্রেমিকা সিমি গরেওয়ালের সঙ্গে। 

ভারতের টাটা গ্রুপের কর্ণধার রতন টাটা বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতে ৮৬ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। বুধবার রাতে হঠাৎ রতন টাটার মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ হয় ভারত। ‘এমন এক মানুষ, যার কোনো শত্রু নেই’, পোস্ট ভাইরাল হয় সামাজিক মাধ্যম। এত সফল একটা মানুষ, কিন্তু বিয়ে করেননি, নেই সন্তান। সদা সিঙ্গেল রতন টাটা একসময় ভুগতেন একাকিত্বে। যা নিয়ে কথাও বলেছিলেন তিনি প্রাক্তন প্রেমিকা সিমি গরেওয়ালের সঙ্গে। 

বৃহস্পতিবার সিমি গরেওয়াল ফেসবুকে লিখলেন, ‘ওরা বলছে তুমি চলে গেছ। তোমার না থাকার এই ক্ষতি সহ্য় করা খুব কঠিন .. বড্ড কঠিন.. বিদায় বন্ধু..’। 

সিমি এবং রতন টাটা কয়েক দশক আগে ছিলেন সম্পর্কে। যদিও পরিণতি পায়নি সেই সম্পর্ক। 

বহু বছর আগে রতন টাটার সঙ্গে কিছুদিন ডেট করার কথা জানিয়েছিলেন সিমি।

একবার রেন্ডেভুস উইথ সিমি গারেওয়ালেও এসেছিলেন রতন টাটা। যেখানে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল কেন তিনি কখনোই বিয়ে করেননি। জবাব এসেছিল, ‘একটি পুরো সিরিজ (আমাকে বিয়ে করা থেকে বিরত করেছিল)- সময়, সেই সময়ে আমার কাজের মধ্যে শোষণ। আমি মাঝে মাঝে বিয়ে করার কাছাকাছি এসেছিলাম, কিন্তু এটি কার্যকর হয়নি।’

রতন টাটা আরও বলেছিলেন, তিনি প্রায় চারবার প্রেমে পড়েছিলেন এবং বিয়ের প্রায় কাছাকাছি পৌঁছেছিলেন, কিন্তু তা কখনোই কার্যকর হয়নি। যদিও তিনি মাঝে মাঝে একাকীত্ব অনুভব করেন, সেটাও স্বীকার করেছিলেন। 

‘এমন অনেক সময় আসে যখন আমি আমার স্ত্রী বা পরিবার না থাকার কারে একাকীত্ব বোধ করি। কখনো কখনো মনে হয় এগুলো থাকলে ভালো হত। আবার কখনো অন্যের উদ্বেগ বা অনুভূতি নিয়ে ভাবনা না করার যে স্বাধীনতা, তা উপভোগ করি। অনেক সময় একটু নিঃসঙ্গ লাগে।’

২০১১ সালে রতন টাটার সঙ্গে সম্পর্ক স্বীকার করে নেন সিমি। 

অন্যদিকে, হিউমানস অফ বোম্বেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে টাটা জানিয়েছিলেন, ‘এলএ-তে থাকাকালীন আমি প্রথম প্রেমে পড়ি, প্রায় বিয়েও করে নিয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে সেই সময় দেশে ফিরতেই হতো। আমার ঠাকুমা অসুস্থ। আমি ঠাকুমার কাছে আসি, ভেবেছিলাম আমার হবু স্ত্রীও আসবে। কিন্তু ভারত-চীন যুদ্ধের সময় মেয়েটির মা-বাবা ওকে অনুমতি দেয়নি।’ অবশ্য এই মেয়ে, সিমি গরেওয়াল নন।

তবে টাটা-সিমির কেন বিচ্ছেদ হয়- তা এখনো অজানা। 

এমএসএ 

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *