মহানবীর জীবনাদর্শ মেনে চললে হিংসা-বিদ্বেষ থাকবে না : আহমাদুল্লাহ

মহানবীর জীবনাদর্শ মেনে চললে হিংসা-বিদ্বেষ থাকবে না : আহমাদুল্লাহ

আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেছেন, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল আখলাক। তার উত্তম চারিত্রিক আদর্শ বিশ্ব মানবতার জন্য অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়। মহান আল্লাহ নিজেই নবীজী (সা.) এর চরিত্রের সার্টিফিকেট দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন ‘নিশ্চয়ই আপনি মহান চরিত্রের অধিকারী।’ কোরআন মাজিদে যেসব উত্তম চরিত্র ও মহান নৈতিকতার কথা উল্লেখ রয়েছে তা হচ্ছে থিওরি আর মহানবী (সা.) হচ্ছেন এর প্রাকটিক্যাল। আমরা যদি মহানবী (সা.) জীবনাদর্শ, আখলাক মেনে চলি, তাকে অনুসরণ করি তাহলে সমাজে কোনো হিংসা-বিদ্বেষ থাকবে না। এতে দুনিয়ায় যেমন আমরা সম্মান পাব, আখিরাতেও এর উত্তম মর্যাদা পাব।

আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেছেন, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল আখলাক। তার উত্তম চারিত্রিক আদর্শ বিশ্ব মানবতার জন্য অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়। মহান আল্লাহ নিজেই নবীজী (সা.) এর চরিত্রের সার্টিফিকেট দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন ‘নিশ্চয়ই আপনি মহান চরিত্রের অধিকারী।’ কোরআন মাজিদে যেসব উত্তম চরিত্র ও মহান নৈতিকতার কথা উল্লেখ রয়েছে তা হচ্ছে থিওরি আর মহানবী (সা.) হচ্ছেন এর প্রাকটিক্যাল। আমরা যদি মহানবী (সা.) জীবনাদর্শ, আখলাক মেনে চলি, তাকে অনুসরণ করি তাহলে সমাজে কোনো হিংসা-বিদ্বেষ থাকবে না। এতে দুনিয়ায় যেমন আমরা সম্মান পাব, আখিরাতেও এর উত্তম মর্যাদা পাব।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আয়োজিত সিরাত কনফারেন্স-২০২৪ এ প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

আহমাদুল্লাহ তার বক্তব্যে নবী কারিম (সা.) এর উত্তম চরিত্র, সহজ জীবনযাপনসহ নানা দিক তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, উত্তম চরিত্রের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো কারো অধিকার নষ্ট করা যাবে না। কারো কোনো ক্ষতি করা যাবে না। কাউকে কষ্ট দিয়ে কথা বলা যাবে না। এসব করে থাকলেও যত দ্রুত সম্ভব ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। মনে রাখতে হবে নবীজীর মতো দায়িত্বশীল আচরণ করলে সামাজিক ও পারিবারিকভাবে আমরা সম্মানিত হবো।

আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বলেন, আখলাক সুন্দর হলে ঈমানের গুরুত্ব অনেক বেড়ে যায়। উত্তম আচরণকারী ও সচ্চরিত্রবানরা জান্নাতে মহানবী (সা.) এর কাছাকাছি থাকার সুযোগ পাবেন। পরে তিনি শিক্ষার্থীদের লিখিত নানা প্রশ্নের উত্তর দেন।

বক্তব্যের শুরুতে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। একইসঙ্গে আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, মহানবী (সা.) তার উত্তম চরিত্র দিয়ে পৃথিবী জয় করেছেন। সারা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক তিনি। তার জীবন-চরিত্র নিয়ে জানার শেষ নেই। আমাদের সবার উচিত তাকে অনুসরণ করা। তিনি প্রথমবারের মতো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজনের জন্য শিক্ষার্থীদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান।

সিরাত কনফারেন্সে আরও আলোচনা করেন ইসলামী চিন্তাবিদ ও লেখক এস এম নাহিদ হাসান এবং কবির আনোয়ার। পরে সিরাত কনফারেন্স-২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, হামদ, নাত ও গজল প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন।

এসএসএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *