মিঠুনের গায়ে পা তোলেন রজতাভ, এরপর প্রণাম!

মিঠুনের গায়ে পা তোলেন রজতাভ, এরপর প্রণাম!

বড় পর্দায় ‘মহাগুরু’ মিঠুন চক্রবর্তী ও ওপার বাংলার অভিনেতা রজতাভ দত্তের ইদুর-বিড়াল লড়াইয়ের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে দর্শকদের। নায়কের চরিত্রে মিঠুন ও খলনায়ক রজতাভের অ্যাকশন-সংলাপে জমে ওঠে তাদের রসায়ন। ফলে তাদের বাণিজ্যিক ছবিগুলোও দর্শকের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।

বড় পর্দায় ‘মহাগুরু’ মিঠুন চক্রবর্তী ও ওপার বাংলার অভিনেতা রজতাভ দত্তের ইদুর-বিড়াল লড়াইয়ের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে দর্শকদের। নায়কের চরিত্রে মিঠুন ও খলনায়ক রজতাভের অ্যাকশন-সংলাপে জমে ওঠে তাদের রসায়ন। ফলে তাদের বাণিজ্যিক ছবিগুলোও দর্শকের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।

আসছে পুজায় মুক্তি পাচ্ছে মিঠুন চক্রবর্তী অভিনীত ছবি ‘শাস্ত্রী’। ছবিটিতে খল চরিত্রে রয়েছেন টালিউডের খ্যাতিমান অভিনেতা রজতাভ দত্ত। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ছবিটির ট্রেলার। সেখানে জমে ওঠে মিঠুন ও রজতাভের সেই চিরচেনা রসায়ন।

‘শাস্ত্রী’র ওই ট্রেলারের এক দৃশ্যে দেখা যায়, নিরাপত্তারক্ষীর পোশাকে মিঠুন, তার ঠিক বিপরীত দিকে বসে আছেন রজতাভ। অনুমান করা হচ্ছে, মিঠুনের বিপরীতে সেখানে খলচরিত্রে অভিনয় করেছেন রজতাভ দত্ত। ঝলকে ওঠে, এক সময়ের বর্ষীয়ান অভিনেতা মিঠুনের কোলে দু’পা তুলে দিয়েছেন রজতাভ। আর সেই ট্রেলার প্রকাশ পেতেই উৎসাহ তৈরি হয় দর্শক মনে।

মিঠুনের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রজতাভের। ওই দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে কুণ্ঠাবোধ করেছিলেন রজতাভ। তা ভারতীয় গণমাধ্যমে স্বীকারও করে নেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় এ অভিনেতা। সে অভিজ্ঞতা জানিয়ে রজতাভ বলেন, ‘একটু অস্বস্তি হয়েছিল আরকি। কিন্তু চিত্রনাট্যে এমনই ছিল। মিঠুনদাকে সেটা জানাতেই বললেন,-আরে, চল তো। শট দে!’

তবে বাণিজ্যিক ছবিতে দর্শকের মন জয় করতে বেশ কিছু ফরমুলা মানা হয়, সেটি বিশ্বাস করেন রজতাভ। বললেন,‘পরে যখন মিঠুনদা আমার কাঁধে পা তুলে দিচ্ছেন, ওই দৃশ্যে সবচেয়ে বেশি হাততালি পড়বে প্রেক্ষাগৃহে।’ রজতাভ যোগ করলেন, ‘ওই দৃশ্যের পর মিঠুনদার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেছিলাম।’

ব্রাত্য বসু পরিচালিত ‘রাস্তা’ ছবিতে মিঠুন ও রজতাভ প্রথম একসঙ্গে অভিনয় করেন। তবে মিঠুনের সঙ্গে অভিনেতার বাণিজ্যিক ছবিগুলোই দর্শকের কাছে জনপ্রিয় হয়। রজতাভের কথায়, ‘আমি তখন নবাগত। প্রথম খল চরিত্র। আমার ধারণা, আমাকে নির্বাচনের নেপথ্যে মিঠুনদার বড় অবদান ছিল।’ যদিও তিনি জানালেন, ‘শাস্ত্রী’র সেটে মিঠুনকে সে কথা জিজ্ঞাসা করতে অভিনেতা জানান, পুরোনো স্মৃতি তার আর মনে নেই। রজতাভ বললেন, ‘সাধারণত এ রকম ক্ষেত্রে অনেকেই হয়ত কৃতিত্ব নিতে চাইবেন। কিন্তু, মিঠুনদা সরল মনেই বলে দিলেন যে তিনিই আমাকে সুযোগ দিয়েছিলেন কি না, সেটা আর মনে করতে পারছেন না।’

ডিএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *