কুষ্টিয়া থানা আগুনে পুড়ে অঙ্গার, অস্ত্র-গাড়ি লুটপাট

কুষ্টিয়া থানা আগুনে পুড়ে অঙ্গার, অস্ত্র-গাড়ি লুটপাট

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে কুষ্টিয়া মডেল থানা‌য় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে থানার ভেতরের জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়েছে গেছে। এসব চিত্র দেখতে সেখানে মানুষের ভিড় দেখা গেছে।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে কুষ্টিয়া মডেল থানা‌য় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে থানার ভেতরের জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়েছে গেছে। এসব চিত্র দেখতে সেখানে মানুষের ভিড় দেখা গেছে।

এছাড়া থানায় পু‌লি‌শের গা‌ড়ি‌সহ বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। প‌রে থানা পু‌লি‌শের সদস্যরা থানা ত্যাগ করে চলে যান। সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেল ৩টায় থানা‌য় হামলা-ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। এ সময় যে যা পেরেছেন লুটপাট করে নিয়ে গেছেন। এতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে কুষ্টিয়া মডেল থানা। পুরো থানা আগুনে পুড়ে গেছে। কোনো কিছু আর অবশিষ্ট নেই।

জানা গেছে, সোমবার সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলনকারী ও পুলিশের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও গুলি করে। কুষ্টিয়া শহরের থানার মোড়, মজমপুর, সাদ্দাম বাজার, এনএস রোড়, ছয় রাস্তার মোড়, পাঁচ রাস্তার মোড়সহ বিভিন্ন এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীসহ ৮ জন নিহত হন। আহত হন অন্তত দুই শতাধিক মানুষ। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে থানা ত্যাগ করেন পুলিশ সদস্যরা। 

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আন্দোলনকারীরা ও বিক্ষুব্ধ জনতা থানায় হামলা চা‌লায়, ভাঙচুর ক‌রে এবং অগ্নিসংযোগ করেন। এ সময় থানার ভেতর থেকে যে যা পারছেন নিয়ে গেছেন। অনেকে পুড়ে যাওয়া গাড়ি, গাড়ির যন্ত্রপাতি, অস্ত্র, আসবাবপত্র, মোটরসাইকেল নিয়ে গেছে। 

কুষ্টিয়া মডেল থানা ঘুরে দেখা যায়, তিনতলা বিশিষ্ট থানাটির উভয় তলা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বিভিন্ন আসবাবপত্র ও থানার সামনে থাকা কয়েকটি গাড়ি। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে থানা । 

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও‌সি) মাহফুজুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এসময় অস্ত্র, গাড়িসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র লুটপাট করা হয়। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে কুষ্টিয়া মডেল থানা। পুরো থানা আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কোনো কিছু আর অবশিষ্ট নেই। 

২৫০ শয্যা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তারা রিসিভ করেননি। 

রাজু আহমেদ/আরকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *