মহান রবের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক সবাই গড়তে চায়। তবে রবের প্রতি ভালোবাসার জন্য নিজেকে সেভাবে প্রস্তুত করেন না সবাই। রবের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়তে বেশ কিছু গুণ অর্জন করতে হয়। যা মানুষকে আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রিয় করে তোলে। এমন কিছু গুণ হলো—
মহান রবের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক সবাই গড়তে চায়। তবে রবের প্রতি ভালোবাসার জন্য নিজেকে সেভাবে প্রস্তুত করেন না সবাই। রবের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়তে বেশ কিছু গুণ অর্জন করতে হয়। যা মানুষকে আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রিয় করে তোলে। এমন কিছু গুণ হলো—
তাওবাকারী
যারা আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বেশি তাওবা করে, আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাওবাকারীদেরকে ভালবাসেন।’ (সূরা বাকারা, আয়াত : ২২২)
রাসূল সা.-এর অনুসরণ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসরণ ও অনুকরণকার মানুষকে আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রিয় করে তোলে। আল্লাহ তায়ালা বলেন—
হে রাসুল! আপনি বলে দিন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসতে চাও, তবে আমার অনুসরণ কর; তবেই আল্লাহ তোমাদের ভালবাসবেন এবং তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন। আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সূরা ইমরান, আয়াত : ৩১)
পবিত্রতা অর্জনকারী
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- আল্লাহ তায়ালা পবিত্র; তিনি পবিত্রতা অর্জনকারীকে ভালোবাসেন। এ পবিত্রতা শুধু শারীরিক পবিত্রতাই নয়, বরং এ পবিত্রতা হচ্ছে জীবনের প্রতিটি দিক ও বিভাগে শারীরিক, মানসিক, আদর্শিক; লেন-দেন, কথা-বার্তা ও আচার-আচরণসহ সব ধরনের পবিত্রতা অর্জনকারীকে মহান আল্লাহ ভালোবাসেন।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে এ কথা ঘোষণা করেছেন এভাবে- ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ভালবাসেন অধিক পবিত্রতা অর্জনকারীদেরকে।’ (সূরা বাকারা, আয়াত : ২২২)
বেশি বেশি দান করা
আল্লাহ তায়ালা যে সম্পদ বা নেয়ামত দিয়েছেন তা থেকে অসহায়-দুস্থদের দান করা আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রিয় করে তোলে। যারা দান করে আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে ভালোবাসেন।
ন্যায়বিচার
ন্যায়বিচারকারীকে মহান আল্লাহ তায়ালা ভালোবাসেন। এ কারণেই আল্লাহ তায়ালা মানুষের প্রতি ন্যায় বিচার করার নির্দেশ দিয়েছেন এভাবে। বর্ণিত হয়েছে-
‘আর তোমরা ন্যায়বিচার কর। নিশ্চয় আল্লাহ ন্যায়বিচারকারীদের ভালবাসেন।’ (সূরা হুজরাত, আয়াত : ৯)
আল্লাহর প্রতি ভরসাকারী
সব কাজ নিয়ম মেনে করার পাশাপাশি আল্লাহর ওপর ভরসা করতে হবে। আল্লাহর প্রতি নির্ভরশীল হতে হবে। যারা সর্বাবস্থায় মহান আল্লাহর ওপর ভরসা করেন, মহান আল্লাহ তায়ালা তাদের ভালোবাসেন মর্মে কোরআনে এভাবে ঘোষণা দিয়েছেন—
‘অতঃপর তুমি কোনো সংকল্প গ্রহণ করলে আল্লাহর প্রতি নির্ভর কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ (তাঁর উপর) নির্ভরশীলদের ভালোবাসেন।’ (সূরা আল ইমরান, আয়াত : ১৫৯)
মুত্তাকীদের আল্লাহ ভালোবাসেন
মুত্তাকি তথা যারা আল্লাহকে ভয় করে চলে আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে ভালোবাসেন। কোরআনুল কারিমে মহান আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেন-
অবশ্যই যে তার অঙ্গীকার পালন করে এবং সংযত হয়ে (আল্লাহকে ভয় করে) চলে, নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাকিদের ভালবাসেন।’ (সূরা আল ইমরান, আয়াত : ৭৬)
মুত্তাকি মানে কী?
মুত্তাকি হচ্ছে কোরআন-সুন্নাহর ওপর পরিপূর্ণ আমল করা। তাকওয়া মানে হলো- আল্লাহ তায়ালা বান্দার গতিবিধির ওপর পরিপূর্ণ নজর রাখছেন। বান্দা কি করছে সবকিছুই রেকর্ড হচ্ছে। বান্দার ছোট-বড় সব কাজই আল্লাহ রেকর্ড করছেন। সব কাজের ব্যাপারেই আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে- এ বিশ্বাসকে অন্তরে রেখে কোরআন-সুন্নাহভিত্তিক জীবন গঠন করাই হলো তাকওয়া। এভাবে তাকওয়া অর্জন করে যে নিজেকে মুত্তাকি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারবে; আল্লাহ তায়ালা তাকে ভালোবাসেন।