ফাঁকা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, গণপরিবহন সংকট চরমে

ফাঁকা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, গণপরিবহন সংকট চরমে

সড়কে নেই গাড়ির দীর্ঘ সারি। অধিকাংশ বাসস্ট্যান্ডই ফাঁকা। বিভিন্ন জনবহুল জায়গাগুলোতেও নেই ব্যস্ততা কিংবা কোলাহল। চলছে কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি আর রিকশা-সিএনজিচালিত অটোরিকশা। এমনই অবস্থা রাজধানী ঢাকার অন্যতম প্রধান এবং ব্যস্ততম ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক।

সড়কে নেই গাড়ির দীর্ঘ সারি। অধিকাংশ বাসস্ট্যান্ডই ফাঁকা। বিভিন্ন জনবহুল জায়গাগুলোতেও নেই ব্যস্ততা কিংবা কোলাহল। চলছে কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি আর রিকশা-সিএনজিচালিত অটোরিকশা। এমনই অবস্থা রাজধানী ঢাকার অন্যতম প্রধান এবং ব্যস্ততম ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক।

রোববার (৪ আগস্ট) সকাল থেকে এমন চিত্রই চোখে পড়েছে।

সরেজমিন রাজধানীর উত্তরা, আজমপুর, রাজলক্ষ্মী, জসীমউদ্দিন, এয়ারপোর্ট, খিলক্ষেত, বনানী, মহাখালী, জাহাঙ্গীর গেট, বিজয় সরণি, আড়ং-আসাদগেট ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে মানুষের উপস্থিতি অন্যান্যদিনের তুলনায় অনেক কম। দূরপাল্লার কোনো বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি। মাঝে মাঝে আন্তঃজেলা রুটে চলাচল করা বিভিন্ন কোম্পানির মিনিবাস দেখা গেছে। তবে সেসব বাসে প্রচণ্ড ভিড় থাকার কারণে অনেকটা ঠেলাঠেলি এবং একপ্রকার যুদ্ধ করেই মানুষজনকে উঠতে হচ্ছে। ফলে চাকরিজীবী মানুষজনকে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

মশিউর রহমান নামের এক সরকারি চাকরিজীবী বলেন, আজ সাধারণ ছুটি নেই। তাই বাধ্য হয়ে অফিসে যেতে হচ্ছে। অনেক কষ্ট করে গাড়িতে উঠেছি।

আরিফুল ইসলাম নামের আরেক ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, আজকে বাসা থেকে বের হতেই আপনজনেরা নিষেধ করেছে। কিন্তু চাকরি যেহেতু করি তাই ছুটি ছাড়া ঘরে বসে থাকার সুযোগ আমাদের নেই।

অপরদিকে সকাল থেকে এসব এলাকায় আন্দোলনের সমর্থনে কিংবা বিরোধিতা করে কোনো কর্মসূচি পালন হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের অবস্থান দেখা গেছে।

প্রসঙ্গত, শনিবার (৩ আগস্ট) সরকার পতনের একদফা দাবি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর আগে, রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাকও দেওয়া হয়েছে। গত শুক্রবার (২ আগস্ট) রাতে আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ এমন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। একইসাথে সারাদেশের সব জনসাধারণকে সংগঠিত হয়ে কর্মসূচি সফল করার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

আরএইচটি/জেডএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *