সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণআন্দোলন ছড়িয়ে পড়ার পর ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়। হাসিনার পতনের পর দেশটির সঙ্গে মালবাহী ট্রেন চলাচল পুনরায় শুরু হলেও এখনো বন্ধ আছে যাত্রীবাহী ট্রেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণআন্দোলন ছড়িয়ে পড়ার পর ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়। হাসিনার পতনের পর দেশটির সঙ্গে মালবাহী ট্রেন চলাচল পুনরায় শুরু হলেও এখনো বন্ধ আছে যাত্রীবাহী ট্রেন।
ভারতের রেল মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা আইএএনএসের কাছে দাবি করেছেন, বাংলাদেশে এই ট্রেন সেবা চালু করতে চাইছে না।
এ ব্যাপারে দেশটির এক কর্মকর্তা বলেছেন, “আকাশ যোগাযোগ ব্যবস্থায় কোনো বিঘ্ন ঘটেনি; স্বল্প বিরতির পর বাস সার্ভিস চালু হলেও; অন্তর্বর্তী সরকার কোনোভাবে রেল সংযোগ চালু করতে অনিচ্ছুক।”
দেশটির রেল মন্ত্রণালয়ের অপর সিনিয়র এক কর্মকর্তা বলেছেন, “রেলসেবা বাতিলের বিষয়টি অবশ্যই দুই দেশের মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। কলকাতা-ঢাকা এবং খুলনা-কলকাতার মধ্যে ট্রেন সবচেয়ে আরামদায়ক ও সাশ্রয়ী বাহন হিসেবে জায়গা ধরে রেখেছে এবং এটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে।”
এই কর্মকর্তার ধারণা, বাংলাদেশের রেলপথ মন্ত্রণালয়ে হয়ত বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হতে পারে। এ কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
তবে অপর এক কর্মকর্তা বলেছেন, “যদি বিষয়টি এই হতো তাহলে মালবাহী ট্রেন কীভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে যাচ্ছে। যেগুলোতে ওয়েল কেক, নুড়ি এবং ফ্লাই অ্যাস পরিবহন করা হচ্ছে।”
২০০৮ সালে ঢাকা-কলকাতার মধ্যে মৈত্রী এক্সপ্রেস নামের একটি ট্রেন চালু করা হয়। এর আগে দুই দেশের মধ্যে ১৯৬৫ সাল থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। এরপর ২০১৭ সালে খুলনা-কলকাতার মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চালু হয়।
সূত্র: আইএএনএস
এমটিআই