দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ে, কনের মা ও বরের কারাদণ্ড

দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ে, কনের মা ও বরের কারাদণ্ড

দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীর (১১) বিয়ে পড়ানো হয়েছে। কাজি ডাকারও তোড়জোড় চলছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন ইউএনও। বিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান বর ও কনের পরিবার। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। সড়কে আটকে রেখে বসানো হয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। কারাদণ্ড দেওয়া হর বর, বরের খালা ও কনের মাকে।

দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীর (১১) বিয়ে পড়ানো হয়েছে। কাজি ডাকারও তোড়জোড় চলছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন ইউএনও। বিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান বর ও কনের পরিবার। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। সড়কে আটকে রেখে বসানো হয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। কারাদণ্ড দেওয়া হর বর, বরের খালা ও কনের মাকে।

সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে জয়পুরহাট শহরের সাহেবপাড়া মহল্লায় এ ঘটনা ঘটেছে। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাশেদুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির উপস্থিত ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- শহরের সাহেবপাড়া এলাকায় ফয়জুল হকের ছেলে নাহিদ হাসান (২০), তার খালা রুমা ও কনের মা মাজেদা। এদের মধ্যে নাহিদকে এক মাস, তার খালা ও কনের মাকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় ও ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, মেয়ে ও ছেলের পরিবার একই মহল্লার বাসিন্দা। ১১ বছর বয়সী ওই মেয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। তার বিয়ে দেওয়ার জন্য ছেলেকে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। স্থানীয় মৌলভি ডেকে বিয়ে পড়ানো হয়। কাজী ডাকার তোড়জোড় চলছিল। কিন্তু গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে হাজির হন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাশেদুল ইসলাম।

আর এই খবরে পালিয়ে যান বর ও কনের পরিবার। তাদের পিছু নিয়ে সড়কেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বাল্যবিবাহের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে কনের মাকে ১৫ দিন। বরকে এক মাস ও অভিভাবক হিসেবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা বরের খালাকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও ইউএনও মো. রাশেদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে শোনা যায়, স্থানীয় মৌলভি ডেকে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে রেজিস্ট্রি করা হয়নি বা কোনো ডকুমেন্ট নাই। মেয়ের বয়স কম, সে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। এ কারণে বাল্যবিবাহ আইনে মেয়ের মা, বর ও বরের খালাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

কারাদণ্ডের পর তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির।

চম্পক কুমার/আরএআর

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *