৯-২ গোলের বিশাল জয়ে ইতিহাস গড়লো বায়ার্ন

৯-২ গোলের বিশাল জয়ে ইতিহাস গড়লো বায়ার্ন

৮ মিনিটে জামাল মুসিয়ালার বাতিল হওয়া গোলটা নিয়ে বায়ার্ন মিউনিখ কোচ ভিনসেন্ট কোম্পানি আক্ষেপ করবেন সেটা অনেকটাই নিশ্চিত। সেই গোল অফসাইডে বাতিল না হলে যে ১০ গোলের চক্র পূরণ করতে পারতো বায়ার্ন মিউনিখ। তারপরেও যা হয়েছে সেটা বলতে গেলে ইতিহাসেরই অংশ। 

৮ মিনিটে জামাল মুসিয়ালার বাতিল হওয়া গোলটা নিয়ে বায়ার্ন মিউনিখ কোচ ভিনসেন্ট কোম্পানি আক্ষেপ করবেন সেটা অনেকটাই নিশ্চিত। সেই গোল অফসাইডে বাতিল না হলে যে ১০ গোলের চক্র পূরণ করতে পারতো বায়ার্ন মিউনিখ। তারপরেও যা হয়েছে সেটা বলতে গেলে ইতিহাসেরই অংশ। 

পুরো ম্যাচে গোল হয়েছে ১১টি। ডিনামো জাগরেব হজম করেছে ৯ গোল। বায়ার্নের জালে পুরেছে ২টি। ২০২০ সালে বার্সেলোনার বিপক্ষে ৮-২ গোলের পর এবারে জাগরেবের বিপক্ষে ৯-২ গোলের জয় বায়ার্নের। হ্যারি কেইনের চার গোলের পাশাপাশি মাইকেল ওলিসে করেছেন ২ গোল। একটি করে গোল এসেছে রাফায়েল গেরেরো, লেরয় সানে এবং লিওন গোরেৎজকার পা রেখে। 

গোলবন্যার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে নামও তুলল বায়ার্ন মিউনিখ। এর আগে কখনোই ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের সর্বোচ্চ এই আসরে ৯ গোল করার নজির ছিল না। বায়ার্ন গতকাল তাইই করেছে। দুই দল করেছে ১১ গোল। 

এই ১১ গোল চ্যাম্পিয়নস লিগের কোনো নির্দিষ্ট ম্যাচে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোল। অবশ্য সেটাও যৌথভাবে। ২০০৩ সালে ১১ গোল দেখা গিয়েছিল মোনাকো এবং দিপার্তিভো লা করুনার ম্যাচে। সেই ম্যাচে ৮–৩ গোলে জিতেছিল মোনাকো। এক ম্যাচে সর্বোচ্চ গোলের তালিকায় সবার ওপরে আছে ২০১৬ সালের বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ও লেগিয়া ওয়ারশর ম্যাচটি। ১২ গোলের সেই ম্যাচে ৮ গোল করেছিল ডর্টমুন্ড।

এদিন প্রতিপক্ষের জালে চারবার বল জড়িয়েছেন হ্যারি কেইন। তিন পেনাল্টির পাশাপাশি একটা ট্যাপ ইন। বায়ার্নের হয়ে সহজ কাজ ছিল তারই। রেকর্ডের রাতে নাম উজ্জ্বল করলেন ইংলিশ অধিনায়কও। নিজ দেশের সাপেক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে করেছেন নতুন ইতিহাস। চ্যাম্পিয়নস লিগে ইংলিশ খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ গোলে তিনি ছাড়িয়ে গেছেন ওয়েইন রুনিকে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কিংবদন্তি রুনির ৩০ গোলের বিপরীতে কেইনের গোল এখন ৩৩।

ডিনামো জাগরেবের হয়ে গোল পেয়েছেন ব্রুনো পেটকোভিচ এবং তাকুয়া ওগিওয়ারা। ৪৯ আর ৫০ মিনিটের গোলে খেলায় একপর্যায়ে ৩-২ ব্যবধান নামিয়ে এনেছিল ক্রোয়েশিয়ার ক্লাবটি। কিন্তু পরপর দুই গোলই যেন কাল হলো তাদের।

পরের ৪০ মিনিটে হজম করেছে আরও ৬ গোল। ম্যাচের প্রথম ৩০ মিনিটেই অবশ্য ৪ বার গোল হজম করতে হয়েছিল তাদের। ৮ মিনিটে মুসিয়ালার গোল বাতিল হয় অফসাইডে। এরপর ১৬ মিনিটে গ্যানাব্রির গোল বাতিল করে দেয়া হয় পেনাল্টি। সেখান থেকেও গোল হজম করে তারা। এরপরেই রাফায়েল গেরেরো নাম তোলেন স্কোরশিটে। 

চ্যাম্পিয়নস লিগের এই জয়সহ সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ ছন্দে আছে বায়ার্ন। বুন্দেসলিগায় শীর্ষে থাকা দলটি লিগে ৩ ম্যাচ খেলে প্রতিটিতে জিতেছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও প্রথম রাতের পর গোল ব্যবধানে শীর্ষে তারা। 

জেএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *