৯ ব্যাংকের কোটি টাকার চেক ক্লিয়ারেন্স বন্ধ

৯ ব্যাংকের কোটি টাকার চেক ক্লিয়ারেন্স বন্ধ

বেনামে ঋণ ও অর্থপাচার ঠেকাতে ৯টি ব্যাংকের ইস্যু করা এক কোটি টাকা বা তার বেশি টাকার চেক নিজ নিজ ব্যাংক থেকে বা অন্য কোনো ব্যাংকের মাধ্যমে ক্লিয়ারেন্স বা নগদায়ন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বেনামে ঋণ ও অর্থপাচার ঠেকাতে ৯টি ব্যাংকের ইস্যু করা এক কোটি টাকা বা তার বেশি টাকার চেক নিজ নিজ ব্যাংক থেকে বা অন্য কোনো ব্যাংকের মাধ্যমে ক্লিয়ারেন্স বা নগদায়ন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

৯টি ব্যাংক হলো– ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক ও আইসিবি ব্যাংক।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এতদিন এসব ব্যাংকের চেক অন্য ব্যাংকে জমা দিয়ে যেকোনো পরিমাণের টাকা উত্তোলন করা যেত। এ সুবিধার ফলে বিভিন্ন কাগুজে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যাংকগুলো থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। চলমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ফলে এখন থেকে আর ১ কোটি টাকার বেশি চেক নগদায়ন করতে পারবে না। ব্যাংকগুলোকে এমন নির্দেশনা দিয়েছে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। কয়েকটি ব্যাংকের এমডি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, কয়েকটি ব্যাংক দীর্ঘদিন ধরে চলতি হিসাবে ঘাটতিতে রয়েছে। এসব ব্যাংক নামে-বেনামে ঋণ দিয়ে এমন সংকটে পড়েছে। তারপরও পদত্যাগ করা সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বিশেষ সুবিধার মাধ্যমে এসব ব্যাংককে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্ট থেকে অনৈতিকভাবে নিয়মিত টাকা সরবরাহ করেছেন। গত ৩০ জুন গভর্নরের অনুমোদনে বাংলাদেশ ব্যাংক ইসলামিক ব্যাংকগুলোকে একদিনে ৩৫ হাজার কোটি টাকা তারল্য সহায়তা করেছে।

সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, গত ১৬ মে পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর সিআরআরসহ চলতি হিসাবে ঋণাত্মক হয়ে ঘাটতি রয়েছে ২৯ হাজার ৫৯৭ কোটি টাকা। এ ছাড়া সমস্যাগ্রস্ত পদ্মা ব্যাংক ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অবশ্য ব্যাংক দুটির চলতি হিসাবে কোনো ঘাটতি নেই। তবে ব্যাংক দুটি সিআরআর ও এসএলআর সংরক্ষণ করতে পারে না।

চলতি হিসাবে কোন ব্যাংকের কত ঘাটতি

ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘাটতি ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের। ব্যাংকটির ঘাটতি রয়েছে ১০ হাজার ৬১১ কোটি টাকা। পর্যায়ক্রমে– ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের ঘাটতি ৭ হাজার ১২৮ কোটি, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ৪ হাজার ৪৮১ কোটি, ন্যাশনাল ব্যাংকে ৩ হাজার ৪৭৯ কোটি, ইউনিয়ন ব্যাংকের ঘাটতি ২ হাজার ৭৯৪ কোটি, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ৭১২ কোটি এবং বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ঘাটতি ৩৯২ কোটি টাকা। এ ছাড়া আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের চলতি হিসাবে ১ কোটি এবং পদ্মা ব্যাংকের হিসাবে ৭৭ কোটি টাকা জমা আছে।

এসআই/এসএসএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *