৫২ বছর পর টেস্টে যে কীর্তি পাকিস্তানের দুই স্পিনারের

৫২ বছর পর টেস্টে যে কীর্তি পাকিস্তানের দুই স্পিনারের

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হারের পর সিরিজ বাঁচাতে ঘুরে দাঁড়ানোর বিকল্প ছিল না পাকিস্তানের। একাদশে রদবদল এনে দারুণ সাফল্য পেল স্বাগতিকরা। দুই স্পিনারের ঝলকে সাড়ে তিন বছরেরও বেশি সময় ঘরের মাটিতে টেস্ট জয়ের অপেক্ষা শেষ হয়েছে। সফরকারীদের ১৫২ রানে হারিয়ে সিরিজে ১-১ সমতা ফিরিয়েছে শান মাসুদের দল। 

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হারের পর সিরিজ বাঁচাতে ঘুরে দাঁড়ানোর বিকল্প ছিল না পাকিস্তানের। একাদশে রদবদল এনে দারুণ সাফল্য পেল স্বাগতিকরা। দুই স্পিনারের ঝলকে সাড়ে তিন বছরেরও বেশি সময় ঘরের মাটিতে টেস্ট জয়ের অপেক্ষা শেষ হয়েছে। সফরকারীদের ১৫২ রানে হারিয়ে সিরিজে ১-১ সমতা ফিরিয়েছে শান মাসুদের দল। 

ঘরের মাটিতে পাকিস্তান সর্বশেষ টেস্ট জিততে পেরেছিল ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। এরপর টানা ১১ টেস্টে জয় দেখেননি শান মাসুদ–বাবর আজমরা। 

সাম্প্রতিক সময়ে ব্যর্থতাই যেন নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছিল পাকিস্তানের জন্য। বাংলাদেশের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর ইংল্যান্ডের কাছেও প্রথম টেস্টে ইতিহাসগড়া ব্যবধানে হার। সব মিলিয়ে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার দশা।

মুলতানের সেই একই পিচে ভাগ্য বদলে দিলেন দ্বিতীয় টেস্টের একাদশে সুযোগ পাওয়া দুই ক্রিকেটার। স্পিন ঘূর্ণিতে ব্যাটিং স্বর্গে রাজত্ব করলেন সাজিদ খান ও নোমান আলি। এই দুই স্পিনার মিলেই ভাগাভাগি করে নিলেন ইংলিশদের ২০ উইকেট। সাজিদ খানের দখলে গেছে ৯টি, বাকি ১১ উইকেট শিকার করেন নোমান।

৫২ বছর পর এই প্রথম টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে প্রতিপক্ষের ২০ উইকেটই ভাগাভাগি করে নিলেন দুই বোলার। সবশেষ এমন করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বব মেসি এবং ডেনিস লিলি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯৭২ সালে লর্ডস টেস্টে দুই ইনিংসে মেসি নেন ১৬ উইকেট। ডেনিস লিলি পান ৪ উইকেট। 

টেস্ট ইতিহাসেই মাত্র সপ্তমবার ঘটল দুই বোলারের ২০ উইকেট নেয়ার ঘটনা। নোমান আলী এবং সাজিদ খান আরেক দিক থেকে অনন্য। স্পিনারদেরই ২০ উইকেট নেওয়ার ঘটনা ইতিহাসে আরও বিরল। ইতিহাসে মাত্র ২য় বার এবং ৮৮ বছরের ব্যবধানে এমন কিছু করলেন দুই পাকিস্তানি স্পিনার। 

সবশেষ স্পিনারদের ২০ উইকেট নেওয়ার ঘটনা ছিল ১৯৫৬ সালে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্টে ক্রিকেটের ইতিহাসের সেরা বোলিং ফিগার করেছিলেন ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি জিম লেকার। সেবারের ম্যানচেস্টার টেস্টে জিম লেকার নিয়েছিলেন অবিশ্বাস্য ১৯ উইকেট। আর বাকি উইকেট পেয়েছিলেন টনি লক।

উল্লেখ্য, মুলতানে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩৬৬ রানে থেমেছিল পাকিস্তান। জবাবে ঝোড়ো শুরু পেলেও সাজিদ খানের ঘূর্ণিতে ২৯১ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড।

৭৫ রানে এগিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে আর ২২১ রান যোগ করতেই স্বাগতিকরা অলআউট হয়ে যায়। ততক্ষণে যদিও তাদের লিডটা বেড়ে দাঁড়ায় ২৯৭। রেকর্ড রান তাড়া করতে নেমেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ইংল্যান্ডের ইনিংস। 

জেএ/এফআই

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *