বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৪৮ শতাংশই তরুণ। দেশের বিশাল এই জনগোষ্ঠীকে তামাকের মরণঘাতী ছোবল থেকে রক্ষা করতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী এবং তামাকপণ্যে কর ও মূল্য বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন তরুণরা।
বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৪৮ শতাংশই তরুণ। দেশের বিশাল এই জনগোষ্ঠীকে তামাকের মরণঘাতী ছোবল থেকে রক্ষা করতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী এবং তামাকপণ্যে কর ও মূল্য বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন তরুণরা।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর ধানমন্ডির ঢাকা আহছানিয়া মিশনের কার্যালয়ে আয়োজিত তরুণদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এমন দাবি জানানো হয়।
ঢাকা আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদের সভাপতিত্বে সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল-এনটিসিসি’র মহাপরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. আখতারউজ-জামান।
এ সময় তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে তরুণ সমাজ যথাযথ ভূমিকা রাখবে উল্লেখ করে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জোরালো দাবি জানাতে তরুণ সমাজকে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান এনটিসিসি’র মহাপরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. আখতারউজ-জামান।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের এপিডেমিওলজি ও গবেষণা বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. সোহেল রেজা চৌধুরী, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশের (সিটিএফকে)-এর প্রোগ্রামস ম্যানেজার মো. আব্দুস সালাম মিয়া ও কমিউনিকেশনস ম্যানেজার হুমায়রা সুলতানা এবং ঢাকা আহছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফোর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিংয়ের সমন্বয়কারী মারজানা মুনতাহা।
এ সময় তামাকের স্বাস্থ্য ক্ষতি, কোম্পানির কূট-কৌশল, পলিসি অ্যাডভোকেসি ও যোগাযোগ কৌশল নিয়ে আলোকপাত করেন তারা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, তামাকের কারণে প্রতিদিন ৪৪২ জন মানুষের প্রাণ ঝরছে। মৃত্যুর এই মিছিল ঠেকাতে তরুণরা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী এবং তামাকপণ্যে কর ও মূল্য বৃদ্ধির দাবিতে তাদের কণ্ঠস্বরকে জোরালো করতে হবে বলেও জানান আলোচকরা।
জেইউ/জেডএস