আরও একবার ব্যর্থ জাকির-সাদমানের ওপেনিং জুটি। বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে তামিম ইকবাল-ইমরুল কায়েস পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে জাকির হোসেন এবং সাদমান ইসলামের ওপরেই সবচেয়ে বেশি আস্থা ছিল নির্বাচকদের। তবে দুই বাঁহাতির ব্যাট থেকে বড় জুটি পাওয়া যেন বিরল এক দৃশ্য। অবশ্য সামগ্রিকভাবেই টাইগারদের টেস্ট ক্রিকেটে ওপেনারদের কাছ থেকে ধারাবাহিকতা খুব বেশি দেখা যায়নি সেভাবে।
আরও একবার ব্যর্থ জাকির-সাদমানের ওপেনিং জুটি। বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে তামিম ইকবাল-ইমরুল কায়েস পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে জাকির হোসেন এবং সাদমান ইসলামের ওপরেই সবচেয়ে বেশি আস্থা ছিল নির্বাচকদের। তবে দুই বাঁহাতির ব্যাট থেকে বড় জুটি পাওয়া যেন বিরল এক দৃশ্য। অবশ্য সামগ্রিকভাবেই টাইগারদের টেস্ট ক্রিকেটে ওপেনারদের কাছ থেকে ধারাবাহিকতা খুব বেশি দেখা যায়নি সেভাবে।
একই চিত্র কানপুরে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে এসে। নতুন বলে সাবধানী শুরু করেছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম। জাসপ্রিত বুমরাহ ও মোহাম্মদ সিরাজকে ভালোভাবেই সামলেছেন তারা। তবে আকাশ দীপ আক্রমণে এসেই দুই ওপেনারকে ফেরালেন।
জয়সাওয়ালের ক্যাচের স্বীকৃতি যখন থার্ড আম্পায়ার হয়ে এসেছে, ততক্ষণে লজ্জার এক রেকর্ডে নামটা তুলেই ফেলেছেন তিনি। ভারতের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি বল খেলে ডাক মারার অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড এখন বাংলাদেশি ওপেনারের নামের পাশে।
ওপেনার হিসেবে ভারতের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি বল খেলে ডাক মারার রেকর্ড আগে ছিল শন মার্শের। পুনে টেস্টে ২০১৭ সালে অজি ব্যাটার ২১ বল খেলে আউট হন শূন্য রানে। এর আগে ১৯৭৯ সালে পাকিস্তানের মজিদ খান দিল্লি টেস্টে ১৭ বল খেলে ডাক মেরেছিলেন। জাকির খেলেছেন ৭ বল বেশি।
২৪ বল – জাকির হোসেন (বাংলাদেশ), কানপুর, ২০২৪ ২১ বল – শন মার্শ (অস্ট্রেলিয়া), পুনে, ২০১৭ ১৭ বল – মজিদ খান (পাকিস্তান), দিল্লি, ১৯৭৯ ১৬ বল- জ্যাক ক্রলি (ইংল্যান্ড), ধর্মশালা, ২০১৬ ১৫ বল – গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার (জিম্বাবুয়ে), দিল্লি, ২০০০
জাকির অবশ্য এদিক শুরু থেকেই ছন্দে ছিলেন না। ২৩ বলের ইনিংসে জাসপ্রিত বুমরাহর কাছে বারবার নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে তাকে। ভারতের এই পেসারের ২০ বল মোকাবেলা করতে হয়েছে তাকে। যেখানে প্রায় ২৭.৭৮ শতাংশ ক্ষেত্রেই খেলতে চেয়েছেন ভুল শট।
ইনিংসের নবম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে আসেন আকাশ। তার ওভারের তৃতীয় বলটি অফ স্টাম্পের খানিকটা বাইরে গুড লেংথে করেছিলেন এই পেসার। সেখানে ডিফেন্স করতে গিয়ে আউট সাইড এজে বল চলে যায় তৃতীয় স্লিপে। সেখানে সামনের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়েছেন জয়সাওয়াল। ২৪ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি জাকির।
ভারতের বিপক্ষে শীর্ষ ৭ ব্যাটারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বল খেলে ডাক মারার রেকর্ড আগে ছিল অজি কিংবদন্তি ইয়ান চ্যাপেলের। ১৯৬৮ সালে সিডনি টেস্টে চ্যাপেল ২২ বলে করেন শূন্য রান। ২১ বলে শূন্য করেছেন স্টিভ ওয়াহ, শন মার্শ এবং ক্যামেরন গ্রিন। ওয়াহ এবং গ্রিনের ডাকও এসেছিল সিডনিতে।
অবশ্য বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি বল খেলে ডাক মারার তালিকায় চারে আছেন জাকির হোসেন। ২০০২ সালে কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৪১ বল খেলে ০ রানে আউট হন বাংলাদেশের সাবেক পেসার মনজুরুল ইসলাম। ২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই ২৯ বল খেলে ০ রানে আউট হন রাজিন সালেহ। আর ডানেডিনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৫ বল খেলে ০ রানে আউট হন আফতাব আহমেদ।
৪১ বল- মানজুরুল ইসলাম; প্রতিপক্ষ- শ্রীলঙ্কা (২০০২)
২৭ বল- রাজিন সালেহ; প্রতিপক্ষ- শ্রীলঙ্কা (২০০৭)
২৫ বল – আফতাব আহমেদ; প্রতিপক্ষ – নিউজিল্যান্ড (২০০৮)
২৪ বল – জাকির হোসেন; প্রতিপক্ষ – ভারত (২০২৪)
অবশ্য সামগ্রিক টেস্ট ইতিহাসে জাকির আছেন নিরাপদ দূরত্বে। টেস্টে সবচেয়ে বেশি বল খেলে ০ রানে আউট হওয়ার রেকর্ড নিউজিল্যান্ডের জিওফ অ্যালটের। ১৯৯৯ সালে অকল্যান্ডে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭৭ বল খেলে ০ রানে আউট হন সাবেক এই বাঁহাতি পেসার। দুইয়ে আছেন লঙ্কানদের বিপক্ষে ৫৫ বলে ডাক মারা জেমস অ্যান্ডারসন।
জেএ