জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। জাতিসংঘের দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসকরণ দপ্তরের এশিয়া ও প্রশান্ত অঞ্চলের শাখার প্রধান মার্কো তোসকানো-রিভালতা এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। জাতিসংঘের দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসকরণ দপ্তরের এশিয়া ও প্রশান্ত অঞ্চলের শাখার প্রধান মার্কো তোসকানো-রিভালতা এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
শুক্রবার ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসকরণ ইস্যুতে এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলের দেশগুলোর মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘ। আগামী অক্টোবরে হবে এই সম্মেলন। মার্কো তোসকানো রিভালতা শুক্রবারের সেই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেন, “২০১৫ সালে আমরা বিশ্বজুড়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হ্রাসের সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক নামের যে চুক্তি আমরা করেছিলাম, তা থেকে ইতোমধ্যে আমরা অনেকটাই সরে এসেছি। আমাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কারণে গত কয়েক বছরে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস পাওয়ার পরিবর্তে বরং বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি ও দক্ষতা আরও বাড়ানো প্রয়োজন।”
এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিষয়ক এই সম্মেলনটি এশিয়া-প্যাসিফিক মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্স অন ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন বা এপিএমসিডিআরআর নামে পরিচিত। আগামী অক্টোবরে যে সম্মেলন হবে, সেখানে এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলের ৬২টি দেশের মোট ২ হাজার ৫০০ জন প্রতিনিধি অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে মার্কো তোসকানো-রিভালতা বলেন, জাতিসংঘ প্রত্যাশা করছে যে এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসকরণ কর্মসূচিতে নেতৃত্বের জায়গায় থাকবে ফিলিপাইন। এই প্রত্যাশার পক্ষ যুক্তিও তুলে ধরেন তিনি।
“বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে সমন্বয় এবং অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবিলার ক্ষেত্রে ফিলিপাইন একটি মডেল। ফিলিপাইন দেখিয়েছে যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস ইস্যুতে কীভাবে সরকার, স্থানীয় সরকার, সিভিল সোসাইটি, বিজ্ঞান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বেসরকারি খাত এবং স্থানীয় কমিউনিটিকে সংযুক্ত বা অন্তর্ভুক্ত করা যায়,” সংবাদ সম্মেলনে বলেন মার্কো।
এসএমডব্লিউ