বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার চরকুলিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসিবা খাতুন ও তার স্বামী বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম দুলালের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
গতকাল বিদ্যালয়ের সামনে আয়োজিত এই মানববন্ধনে বক্তব্য দেন— স্থানীয় ইউপি সদস্য নাজমুল হুদা, আবু জার আল মেহেদি, দিন ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে রফিকুল ইসলাম দুলাল বিদ্যালয়ের সভাপতি ও তার স্ত্রী হাবিসা খাতুন প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সেই থেকে স্বামী-স্ত্রী মিলে বিদ্যালয়ে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে যাচ্ছেন। নিয়োগ বাণিজ্য, স্বজন প্রীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থেকে বেতন নেওয়াসহ সকল প্রকার দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা করে আসছেন।
আবু জার আল মেহেদি নামে একজন বলেন, ২০০৪ সালে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া বিপুল অংকের টাকার মাধ্যমে ৬-৭ জন শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করেন। অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ইরানী বেগম নামে এক নারীকে ২০০৪ সালে কৃষি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়। ওই নারী ২০১০ সালে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। কিন্তু তার নিয়োগ হয়েছে ২০০৪ সালে এটা কত বড় দুর্নীতি তা আপনারা বলেন।
তিনি আরও বলেন, প্রধান শিক্ষিকা হাসিবা খাতুন কয়েকবার তিন মাসের ছুটি নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ করার কথা বলে ৫-৬ মাসের অধিক সময় বিদেশে অবস্থান করেছেন। ওই সময়ে তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে বেতন ভাতাও উত্তোলন করেছেন অবৈধভাবে। প্রধান শিক্ষিকা তার স্বামীর সহযোগিতায় ২০০৪ সালে ৮ জন শিক্ষককে নিয়মবহির্ভূতভাবে নিয়োগ প্রদান করেন। পরে বেতন করাতে না পারায়, তারা চলে যায়। এ ছাড়াও বিদ্যালয়ে না আসা, বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগ রয়েছে এই প্রধান শিক্ষক ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দারা মোল্লাহাট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে মোল্লাহাট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মফিজুর রহমান তদন্ত শুরু করেছেন। তবে এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি তিনি।
সব অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক হাসিবা খাতুন বলেন, আমি কোনো অনিয়ম করিনি। স্থানীয়রা অভিযোগ দিয়েছে হয়তো কারও প্ররোচনায় পড়ে। অভিযোগের সত্যতা পেলে আমি শাস্তি মেনে নেব।
আবু তালেব/এনএফ