দীর্ঘ পনেরো বছর পর ভোলায় প্রকাশ্যে সভা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ভোলা জেলা শাখার নেতাকর্মীরা।
দীর্ঘ পনেরো বছর পর ভোলায় প্রকাশ্যে সভা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ভোলা জেলা শাখার নেতাকর্মীরা।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ভোলা জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে এ সভার আয়োজন করে জামায়াতে ইসলামী। কয়েক হাজার নেতাকর্মী যোগ দেন এ সভায়।
সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশকে শেখ হাসিনা একটি কারাগারে পরিণত করে রেখেছিল। বিগত ১৫ বছরে এ ভোলায় আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দলের এ রকম সভা-সমাবেশ করার সুযোগ হয় নাই। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের জন্য এক আইন অন্য দলের জন্য আরেক আইন ছিল। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ধর্ষণ, খুন, ব্যাংক ও শেয়ারবাজার লুট করলে মাফ পেয়ে যেতেন, বিগত ১৫ বছর এভাবেই চলছিল। শেখ হাসিনা লাখো নিরপরাধ মানুষসহ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে আটকে রেখেছেন।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশে লুটপাট চালিয়ে প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা দেশ থেকে পাচার করে বাংলাদেশকে শূন্যে পরিণত করেছে। গত ১৭ বছর বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে জামায়াতে ইসলামী। আমাদের নেতাকর্মীদের হত্যা-গুম করা হয়েছে। হাজার হাজার মামলা দেওয়া হয়েছে। তারপরও জামায়াতে ইসলামী দেশের কল্যাণে কাজ করছে।
জামায়াতে ইসলামী প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না। বাংলাদেশ একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র হবে, সেই স্বপ্ন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেখে বলেও মন্তব্য করেন তারা।
সভা শেষে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ঢাকায় নিহত ভোলার ৪৬ জনের প্রত্যেকের পরিবারের মধ্যে নগদ দুই লাখ টাকা করে বিতরণ করা হয়েছে।
মো. খাইরুল ইসলাম/এমজে