১৪ লাখ তরুণ-তরুণী সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চায়, দাবি উত্তর কোরিয়ার

১৪ লাখ তরুণ-তরুণী সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চায়, দাবি উত্তর কোরিয়ার

চলতি সপ্তাহে প্রায় ১৪ লাখ তরুণ-তরুণী সেনাবাহিনীতে যোগদান করার আবেদন করেছে বলে দাবি করেছে উত্তর কোরিয়া।

চলতি সপ্তাহে প্রায় ১৪ লাখ তরুণ-তরুণী সেনাবাহিনীতে যোগদান করার আবেদন করেছে বলে দাবি করেছে উত্তর কোরিয়া।

দেশটির দাবি, সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে সাধারণ শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে দেশটির যুব সংগঠন যুব লীগের সদস্যরাও রয়েছেন। বুধবার (১৬ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থী ও যুব লীগের কর্মকর্তাসহ প্রায় ১৪ লাখ তরুণ-তরুণী এই সপ্তাহে সেনাবাহিনীতে যোগদান করতে বা ফিরে আসতে আবেদন করেছেন বলে উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম দ্য কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) জানিয়েছে। 

কেসিএনএ রিপোর্টে বলা হয়েছে, তরুণরা “বিপ্লবের অস্ত্র দিয়ে শত্রুকে ধ্বংস করার পবিত্র যুদ্ধে” লড়াই করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

রয়টার্স বলছে, মাত্র দুই দিনে দেশটির কোরিয়ান পিপলস আর্মিতে ১০ লাখের বেশি তরুণ-তরুণীকে তালিকাভুক্ত করার বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার দাবি এমন এক সময়ে এলো যখন কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা চলছে।

গত বছর উত্তর কোরিয়ার মিডিয়া একই রকম দাবি করেছিল। সেসময় মিডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, উত্তর কোরিয়ার নাগরিকরা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য স্বেচ্ছায় সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছেন।

এদিকে উত্তর কোরিয়া মঙ্গলবার দুই কোরিয়ার মধ্যে ব্যাপক সুরক্ষিত সীমান্তের পাশে অবস্থিত আন্ত-কোরিয়ান সড়ক ও রেললাইনের একটি অংশ উড়িয়ে দিয়েছে। এই ঘটনার জেরে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীকে সতর্কতামূলক গুলি ছুঁড়তে বাধ্য হয়।

এছাড়া উত্তর কোরিয়ার রাজধানীতে ড্রোন পাঠানোর জন্য সিউলকে অভিযুক্ত করেছে পিয়ংইয়ং। এর আগে গত মে মাসে উত্তর কোরিয়া থেকে ভেসে আসা আবর্জনার বেলুন নিয়ে দুই কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।

কেসিএনএ’র রিপোর্টে বলা হয়েছে, “যদি যুদ্ধ শুরু হয়, আরওকে (রিপাবলিক অব কোরিয়া) মানচিত্র থেকে মুছে যাবে। যেহেতু তারা যুদ্ধ চায়, তাই আমরা তাদের অস্তিত্বকে শেষ করতে ইচ্ছুক।”

টিএম

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *