১৪৬ রানেই শেষ বাংলাদেশ, ভারতের দরকার ৯৫

১৪৬ রানেই শেষ বাংলাদেশ, ভারতের দরকার ৯৫

৫ম দিনে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল যতটা সময় ক্রিজে টিকে থাকা যায়। সেই লক্ষ্যে শুরুটাও ছিল দারুণ। দিনের তৃতীয় ওভারে মুমিনুল হকের ক্যাচের পরেও সেই লক্ষ্যে অনেকটা সময় টিকে ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। নাজমুল হোসেন শান্ত এবং সাদমান ইসলামের কল্যাণে বাংলাদেশ লিড পেয়েছিল। সকালের সেশনে প্রথম ১৫ ওভারে উপহার দিয়েছিল ইতিবাচক ক্রিকেট। 

৫ম দিনে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল যতটা সময় ক্রিজে টিকে থাকা যায়। সেই লক্ষ্যে শুরুটাও ছিল দারুণ। দিনের তৃতীয় ওভারে মুমিনুল হকের ক্যাচের পরেও সেই লক্ষ্যে অনেকটা সময় টিকে ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। নাজমুল হোসেন শান্ত এবং সাদমান ইসলামের কল্যাণে বাংলাদেশ লিড পেয়েছিল। সকালের সেশনে প্রথম ১৫ ওভারে উপহার দিয়েছিল ইতিবাচক ক্রিকেট। 

দুজন মিলে গড়েছিলেন ৫৫ রানের জুটি। ভারতের মাটিতে প্রথম বাংলাদেশি ওপেনার হিসেবে ফিফটিও পেয়ে যান সাদমান। তবে সাদমানের ফিফটির ঠিক আগেই বাংলাদেশের ইনিংসে আসে ধাক্কা। রবীন্দ্র জাদেজাকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ব্যাটে বল পাননি শান্ত। বল আঘাত করে স্ট্যাম্পে। ৯১ রানে বাংলাদেশের তৃতীয় উইকেটের পতন। 

এখান থেকেই বাংলাদেশের ধসের শুরু। ৯১ রানে ২ উইকেট থেকে বাংলাদেশের স্কোর হয় ৯৪ রানে ৭ উইকেট। মাঝে ৩ রান তুলতেই নেই ৫ উইকেট। টাইগারদের বড় লিড পাওয়ার আশাটাও ভেস্তে যায় সেখানেই। রবীন্দ্র জাদেজা এবং আকাশ দীপ রীতিমত গুঁড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের মিডল অর্ডার। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের ইনিংস থামল ১৪৬ রানে। লিড পেয়েছে ৯৪ রানের। কানপুরের দ্বিতীয় টেস্টে জয় পেতে ভারতের দরকার ৯৫ রান। সামনে আছে পুরো দুই সেশনের খেলা। 

সকাল থেকেই কিছুটা ইতিবাচক ক্রিকেট খেলেছিল বাংলাদেশ। দিনের প্রথম ১২ ওভারে বাংলাদেশ তুলেছে ৫৯ রান। মুমিনুল হকের উইকেট হারালেও কিছুটা ওয়ানডে ঘরানার ব্যাটিং করেই লিড বাড়ানোর দিকে মনোযোগ ছিল বাংলাদেশের। তবে সেই পথে খানিক এগুবার পরেই হলো বর রকমের ব্যাটিং বিপর্যয়। দিনের তৃতীয় ওভারে ধাক্কা খাওয়ার আগে অবশ্য বাংলাদেশের শুরুটা ছিল ভালোর ইঙ্গিত।

দ্বিতীয় ইনিংসে পঞ্চম দিনের শুরুর বলেই রান নিয়েছিলেন মুমিনুল। সাদমান ইসলামের ব্যাট থেকে এসেছিল বাউন্ডারি। পরের ওভারে জাসপ্রীত বুমরাহর ওভার থেকেও এসেছে ৫ রান। সেখানেও ছিল সাদমানের বাউন্ডারি। 

এরপরেই টাইগার ইনিংসে আঘাত হানেন অশ্বিন। । আগের ইনিংসে সেঞ্চুরি করা মুমিনুল বাড়ালেন দলের বিপদ। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলটা ছিল অনেকটাই বাইরে। সেঞ্চুরির পথে মুমিনুল খেলেছিলেন অনেকগুলো সুইপ শট। সেই পথেই পা বাড়ালেন এবারেও। কিন্তু ভারত ছিল প্রস্তুত। লেগ স্লিপে কেএল রাহুল নিয়েছেন সহজ ক্যাচ। প্রথম দুই ওভারে দশ রান তোলার পরেই আউট হলেন মুমিনুল। 

শান্ত-সাদমান জুটিতে অনেকটা পথ এগিয়েছিল বাংলাদেশ। দুজনের জুটি অবশ্য ৫০ পেরুবার পরেই আসে আঘাত। সাদমানের সঙ্গে গড়েছিলেন ৫৫ রানের জুটি। এমন পরিস্থিতিতে জাদেজার বলে রিভার্স সুইপ খেলতে চাইলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ব্যাটে বলে হয়নি, বল আঘাত করল স্টাম্পে। খানিক পরেই চলে গেলেন সাদমানও। 

আকাশ দীপের বলে অফ স্টাম্পের বাইরের বলে শট খেলতে গিয়ে জয়সওয়ালের হাতে ক্যাচ দেন সাদমান। লিটন এসেছিলেন। ১ রানের বেশি করা হয়নি তারও। জাদেজার লাফিয়ে ওঠা বলে খোঁচা দিতে গিয়ে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে ঋষভ পান্তের হাতে। এই বিপর্যয়ের শেষ উইকেট সাকিব আল হাসানের। ২ বলে শূন্য করে ফেরেন বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার।

জাদেজার বলেই কট এন্ড বোল্ড হয়েছিলেন সাকিব। এই ইনিংসের মাধ্যমে দেশের বাইরে নিজের শেষ টেস্ট ইনিংস খেলতে নেমেছিলেন তিনি। আর দেশের মাঠে অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলতে না পারলে এটাই হতে পারে তার শেষ টেস্ট ইনিংস। তবে শেষটা ভাল হলো না তার।  ৯১ রানে ৩ উইকেট থেকে ৯৪ রানে ৭ উইকেট নেই বাংলাদেশের। 

জাসপ্রিত বুমরাহর গুড লেংথ বলটিতে মিরাজের ব্যাট ছুঁয়ে জমা পড়ে উইকেটকিপার পান্তের গ্লাভসে। বাংলাদেশের ইনিংসে ৮ উইকেটের পতন। খানিক পরে তাইজুলও ফিরে যান সেই বুমরাহর বলে। এবারের আউট এলবিডব্লিউ। শেষ উইকেটে খালেদ আহমেদের সঙ্গে অনেকটা সংগ্রাম চালিয়ে যান মুশফিকুর রহিম। স্ট্রাইক নিজেই রেখেছেন। খালেদকে খুব একটা স্ট্রাইকে আনেননি। 

তবে লাভের লাভ খুব একটা হয়নি। দলীয় ১৪৬ রানে বুমরাহর ইনসুইং ডেলিভারিতে বোল্ড হলেন মুশফিক। বাংলাদেশের লিড তখন মোটে ৯৪। 

জেএ 

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *