১৩৭ বাস কেনা নিয়ে কারসাজি, নেপথ্যে সাবেক মন্ত্রী-সচিব

১৩৭ বাস কেনা নিয়ে কারসাজি, নেপথ্যে সাবেক মন্ত্রী-সচিব

প্রথম আলো

প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।

যানজট এড়িয়ে চলাচলের জন্য ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার অংশে বিশেষায়িত লেন গড়ে তোলার কাজ চলছে প্রায় সাত বছর ধরে। চার হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে আলোচিত এ প্রকল্পের (বিআরটি) কাজ শেষ পর্যায়ে। বিদেশি ঋণের কিস্তি শোধের সময়ও শুরু হয়ে গেছে; কিন্তু এই রাস্তায় চলাচলের ১৩৭টি বাস কেনার প্রক্রিয়া দেড় বছরেও শেষ হয়নি।

এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি—

প্রথম আলো

১৩৭ বাস কেনা নিয়ে কারসাজি, নেপথ্যে সাবেক মন্ত্রী-সচিব

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, সাবেক সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও সাবেক সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী পছন্দের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ১৩৭টি বাস কিনতে চেয়েছিলেন; কিন্তু সেটা করতে না পেরে পুরো প্রক্রিয়াকে ঝুলিয়ে দিয়েছেন।

কালবেলা

জনপ্রশাসনে রদবদলে ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়

জনপ্রশাসনে বঞ্চনা ও বৈষম্যের চরম নজির সৃষ্টি করেছে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ। সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সচিব থেকে শুরু করে মাঠ প্রশাসনের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পর্যন্ত ‘আওয়ামপন্থি’ কর্মকর্তারাই দাপট দেখিয়েছেন। এসব পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের শিক্ষাজীবনে রাজনৈতিক মতাদর্শ বিবেচনায় নেওয়া হতো।

যেসব কর্মকর্তাকে বিএনপি-জামায়াত ঘরানার মনে করা হতো, তাদের নিয়মিত পদোন্নতি আটকে রাখার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর সংস্থার পদায়ন থেকে বঞ্চিত রেখেছে। ফলে মেধাভিত্তিক সুশৃঙ্খল ও জনকল্যাণমূলক প্রশাসন গড়তে ভালো ও দক্ষ কর্মকর্তার অভাব দেখা দিয়েছে। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর জনপ্রশাসন ঢেলে সাজাতে গিয়ে একরকম ‘ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়’ অবস্থা দেখা দিয়েছে।

মানবজমিন

নজরদারিতে মালিকরা

নিজস্ব সুরক্ষায়, প্রতিষ্ঠান ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুরক্ষায় বিত্তশালী ব্যক্তিরা বেসামরিকভাবে লাইসেন্সের মাধ্যমে বৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে থাকেন। গত ছয় বছরে সারা দেশে এই তিন ক্যাটাগরিসহ বিভিন্ন ব্যক্তিমালিকানাধীন বৈধ অস্ত্রের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে ৫১ হাজার ৬৮০টি। এর মধ্যে ব্যক্তির নামে ৪৫ হাজার ২২৬টি এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ৫ হাজার ৮৪টিরও বেশি।

ব্যবহারকারীদের মধ্যে প্রায় ৩০ হাজারের বেশি ব্যবসায়ী। বিভিন্ন পেশাজীবী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের হাতে রয়েছে ২১ হাজার ৬৮০টি বৈধ অস্ত্র। এসব মালিকরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে রয়েছেন। বৈধ অস্ত্র সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ২০১৮ থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত দেয়া বৈধ অস্ত্রের লাইসেন্সের সংখ্যা ৫১ হাজার ৬৮০। কিন্তু এর প্রকৃত সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মানবজমিনকে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। এর আগে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বৈধ অস্ত্রের হিসাব সম্পর্কে এখন পর্যন্ত সম্মিলিত তথ্য আসেনি। 

দেশ রূপান্তর

২ লাখ ৩৪ হাজার কোটিই পরিচালকদের

ব্যাংক লুটের মহোৎসবে পরিচালকদের নাম বরাবরই এসেছে, তবে তা অনেকটা আড়ালে চাপা পড়েছিল। এস আলমের পরিকল্পিত ব্যাংক লুটের পর এখন অন্য ব্যাংক পরিচালকদের আমানতের অর্থ আত্মসাতের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। জনগণের গচ্ছিত আমানত গনিমতের মালের মতো ভাগবাটোয়ারা করে নিয়ে যাচ্ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, দেশের বেসরকারি ব্যাংকগুলোর পরিচালকরা ঋণের নামে ২ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছেন, যা ব্যাংক খাতের মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় ১৫ শতাংশ। বারবার ঋণ পুনঃতফসিল কিংবা পুনর্গঠনের নামে এসব টাকা ফেরত দিচ্ছেন না তারা।

কালের কণ্ঠ

টাকা জোগাড়ের চ্যালেঞ্জে সরকার

দেশের অর্থনীতি প্রায় ভঙ্গুর। গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো সরকারের ঘনিষ্ঠদের লুটপাটে তছনছ পুরো ব্যাংক খাত। ডলার সংকটে রিজার্ভ নেমে তলানিতে। পাহাড়সম বিদেশি ঋণ।

রপ্তানিতে ভাটার টান। আস্থার সংকটে থাকা ব্যবসা-বিনিয়োগে মন্দার প্রভাবে গতিহীন রাজস্ব আয়। ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১৫ বছরের শাসনামল শেষে রীতিমতো ফোকলা অর্থনীতি সামলানোর ভার পড়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর। এর মধ্যে সুযোগ বুঝে দাবি আদায়ের মিছিলে শামিল বিভিন্ন স্তরের স্টেকহোল্ডার।

ইত্তেফাক

এস আলমের সম্পদ বিক্রি করে আমানতকারীদের টাকা শোধ করা হবে: গভর্নর

সমালোচিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের সম্পদ বিক্রি করে আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দেওয়া হবে। এ জন্য এস আলমের সম্পদ কাউকে না কেনার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।

ব্যাংক বন্ধক নেই, এমন সম্পত্তি বিক্রি করার চেষ্টা করছে এস আলম গ্রুপ—এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পদক্ষেপ সম্পর্কে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে গভর্নর বলেন, ‘এটা আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করতে হবে। আমরা সরকারকে পদক্ষেপ নিতে বলব। আর এই গ্রুপের সম্পদ যেন কেউ না কেনে। এ সম্পদ বিক্রি করে আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দেওয়া হবে।’

যুগান্তর

বন্যার পানি কমলেও দুর্ভোগ পাহাড়সম

দেশের বন্যা পরিস্থিতির ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। ফেনী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুরসহ বেশির ভাগ জেলায় বাড়িঘর ও সড়ক থেকে পানি নামছে। তবে বানভাসিরা এখন পাহাড়সম দুর্ভোগের শিকার। বন্যায় অনেকের কাঁচা ঘর ভেঙে গেছে। পাকা ঘরেও আসবাবপত্রসহ যাবতীয় সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে বাড়িঘর বসবাস উপযোগী করার কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে তারা। বন্যায় গবাদি পশু, হাস-মুরগি ও মাছের খামার ভেসে যাওয়ায় অনেকের অর্থনৈতিক অবলম্বনও শেষ হয়ে গেছে।

কারও কারও দোকানে পানি ঢুকে মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। এ অবর্ণনীয় ক্ষতি কীভাবে পোষাবেন, কীভাবে বছরের পর বছর গড়া বাসস্থানের নানা উপকরণ আবার জোগাড় করবেন, সেই দুশ্চিন্তায় পাগলপ্রায় অনেকে। পাশাপাশি অনেকের পেটে দানাপানি নেই। আশ্রয়কেন্দ্র বা প্রধান সড়কের আশপাশের বাসিন্দারা ত্রাণ পেলেও প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক মানুষই এখনো প্রয়োজনীয় খাবার ও বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছেন না। ফলে খেয়ে-না-খেয়ে সীমাহীন কষ্টে দিন কাটছে তাদের। এছাড়া অনেক এলাকায় এখনো সড়ক যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন। এদিকে নোয়াখালীর বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। জেলার কোথাও কোথাও পানি কিছুটা কমলেও বৃষ্টির কারণে আবারও বেড়েছে। 

সমকাল

পাচার অর্থ পুনরুদ্ধার, স্থানীয় সম্পদ জব্দের জোর চেষ্টা

দেশে-বিদেশে প্রভাবশালীদের অবৈধ সম্পদের খোঁজে নেমেছে সরকার। সন্ধান বের করে দেশের অর্থ আত্মসাৎকারীদের স্থানীয় সম্পদ অধিগ্রহণ এবং বিদেশে পাচারকৃত অর্থ পুনরুদ্ধার করা হবে। এ জন্য জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার সহায়তা চেয়ে যোগাযোগও করা হয়েছে।

আর্থিক খাতের বিতর্কিত এস আলম, সামিট, বসুন্ধরা, বেক্সিমকো, ওরিয়ন, নাসা গ্রুপসহ অনেকের তথ্য চেয়ে একাধিক দেশে চিঠি দিয়েছে আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশে সুনির্দিষ্ট তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিগত সরকারের ঘনিষ্ঠ প্রভাবশালীদের হাতে থাকা ব্যাংকগুলো থেকে কী পরিমাণ অর্থ বের করা হয়েছে, তা যাচাইয়ের কাজ চলছে।

এছাড়া ২ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকা পকেটে পুরেছেন ব্যাংক পরিচালকরা; ইসির ৪০ কর্মকর্তার পদোন্নতি;  ‘পরনির্ভরশীল’ জাপা নিশ্চিহ্নের পথে;  গুলশান-বনানী পূজা ফাউন্ডেশন ২০ লাখ টাকা দিল বন্যার্তদের;  জুসবারে মাদক বিক্রির প্রমাণ মিলেছে—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *