দীর্ঘ ১১২ দিন পরে প্রাণ ফিরেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। শুরু হয়েছে সব বিভাগ ও বর্ষের ক্লাস। ইতোমধ্যেই সব বিভাগ ও ইন্সটিটিউটে ক্লাস রুটিন ও নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। দীর্ঘদিন পর ক্লাসে ফিরতে পেরে উচ্ছ্বসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তবে ডিনস কমিটির ঘোষণা অনুযায়ী ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে।
দীর্ঘ ১১২ দিন পরে প্রাণ ফিরেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। শুরু হয়েছে সব বিভাগ ও বর্ষের ক্লাস। ইতোমধ্যেই সব বিভাগ ও ইন্সটিটিউটে ক্লাস রুটিন ও নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। দীর্ঘদিন পর ক্লাসে ফিরতে পেরে উচ্ছ্বসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তবে ডিনস কমিটির ঘোষণা অনুযায়ী ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে।
গত ১২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় রোববার থেকে ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত হয়। সভায় ডিনস কমিটির সুপারিশের আলোকে ২২ সেপ্টেম্বর (রোববার) থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস (প্রথম বর্ষ ব্যতীত অন্য সব বর্ষের) শুরুর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। আর ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের প্রথম বর্ষের ক্লাস আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয় ঢাবি কর্তৃপক্ষ।
দীর্ঘদিন পর ক্লাসে ফিরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইমরান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ক্লাস বিমুখ রয়েছি। পড়াশোনার প্রতি অনীহা চলে এসেছে। ক্লাসে ফিরতে পারছি, ভালো লাগছে অনেক।
আরেক শিক্ষার্থী সাদমান বলেন, ক্লাস করতে না করতে শরীর ও মনে অবসাদ সৃষ্টি হয়েছিলো। দ্বিতীয় স্বাধীনতার পর থেকে সারাদিন ফোন চালানো ব্যতীত অন্য কোন কাজ করতাম না। এখন অন্তত ক্লাস শুরু হওয়ায় এদিকে মনোযোগ আসবে। দীর্ঘদিন পর ক্যাম্পাসে, ক্লাসে ফিরতে পেরে ভালো লাগছে।
প্রসঙ্গত, গত ২ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে বন্ধ ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস। তবে এ সময়ে বিভিন্ন বিভাগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১ জুলাই থেকে ক্লাস চালুর কথা থাকলেও প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় অচল হয়ে পড়ে।
এরপর, শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কারের দাবিতে ৭ জুলাই থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেন। কোটা আন্দোলন দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়লে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ১৭ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকাল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সব মিলিয়ে সাড়ে তিন মাস (১১২ দিন) বন্ধ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়।
কেএইচ/এমএসএ