উত্তর আফ্রিকার দেশ মিসরকে ম্যালেরিয়া-মুক্ত দেশ হিসেবে প্রত্যয়িত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। প্রায় ১০০ বছরের প্রচেষ্টার পর এই সাফল্য অর্জন করল দেশটি।
উত্তর আফ্রিকার দেশ মিসরকে ম্যালেরিয়া-মুক্ত দেশ হিসেবে প্রত্যয়িত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। প্রায় ১০০ বছরের প্রচেষ্টার পর এই সাফল্য অর্জন করল দেশটি।
এছাড়া দেশটির এই অর্জনকে “সত্যিই ঐতিহাসিক” বলে অভিহিত করেছে জাতিসংঘের জনস্বাস্থ্য সংস্থা। সোমবার (২১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস বলেছেন, “ম্যালেরিয়া মিশরীয় সভ্যতার মতোই পুরোনো। তবে যে রোগটি ফারাওদের জর্জরিত করেছিল তা এখন তাদের ইতিহাসের অন্তর্গত।”
বিবিসি বলছে, মিসরীয় কর্তৃপক্ষ প্রায় ১০০ বছর ধরে প্রাণঘাতী মশাবাহিত এই সংক্রামক রোগ নির্মূল করার জন্য তাদের প্রচেষ্টা চালিয়েছে।
মূলত সার্টিফিকেশন এমন সময়ে মঞ্জুর করা হয় যখন একটি দেশ প্রমাণ করতে পারে যে, ট্রান্সমিশন চেইন কমপক্ষে আগের টানা তিন বছরের জন্য ব্যাহত হয়েছে। ম্যালেরিয়ার কারণে প্রতি বছর কমপক্ষে ৬ লাখ মানুষ প্রাণ হারান। আর তাদের প্রায় সবাই আফ্রিকায়।
রোববার এক বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও “প্রাচীনকাল থেকে দেশটিতে বিদ্যমান রোগের অবসান” করার প্রচেষ্টা চালানোর জন্য “মিসরীয় সরকার এবং জনগণের” প্রশংসা করেছে। এতে বলা হয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মরক্কোর পর মিসরই হলো ডব্লিউএইচওর পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে প্রত্যয়িত তৃতীয় দেশ।
এছাড়া বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত ৪৪টি দেশ এবং একটি অঞ্চল এই মাইলফলক অর্জন করেছে।
কিন্তু ডব্লিউএইচও বলেছে, এই সার্টিফিকেশনটি শুধুমাত্র “একটি নতুন পর্যায়ের সূচনা”। আর তাই মিসরকে তার ম্যালেরিয়া-মুক্ত অবস্থা ধরে রাখার জন্য সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
ডব্লিউএইচওর সার্টিফিকেশন পেতে হলে একটি দেশকে অবশ্যই ট্রান্সমিশন পুনঃপ্রতিষ্ঠা রোধ করার ক্ষমতা প্রদর্শন করতে হবে।
প্রসঙ্গত, ম্যালেরিয়া জটিল পরজীবীর মাধ্যমে সৃষ্টি হয় যা মশার কামড়ে ছড়ায়। এখন এই রোগের বিরুদ্ধে কিছু জায়গায় ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে রোগ পর্যবেক্ষণ করা এবং মশার কামড় এড়ানোই ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
টিএম