ফরিদপুরে হ্যান্ডকাফ নিয়ে ছিনতাইয়ের অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবলসহ দুইজনকে গণধোলাই দিয়ে আটকে রাখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।
ফরিদপুরে হ্যান্ডকাফ নিয়ে ছিনতাইয়ের অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবলসহ দুইজনকে গণধোলাই দিয়ে আটকে রাখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের বাইপাস সড়কের ব্রাহ্মনকান্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আটক পুলিশের কনস্টেবল মো. মামুন শেখ (৩২) সম্প্রতি ফরিদপুর কোতয়ালি থানা থেকে ঢাকার ডিএমপিতে বদলি হলেও চাকরিতে যোগ দেননি। অপরজন হলেন শহরের আলিপুর এলাকার আারাফত রহমান আগুন (২৮)।
ছিনতাইয়ের শিকার হন ফরিদপুর সদরের ইউনিয়নের পিয়ারপুর গ্রামের জিসান আহমেদ।
জিসান শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা পোস্টকে বলেন, আলালপুর এলাকায় একটি ওয়ার্কশপে কাজ করেন তিনি। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে কাজ শেষ করে বাড়ি যাওয়ার পথে দুই ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন। ছিনতাইকারীরা তাকে চড়-থাপ্পড় মারেন এবং পকেট থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে যান। পরে জিসান এলাকাবাসীর সহায়তায় ধাওয়া করে শহরের বাইপাস রোড এলাকা থেকে দুই ছিনতাইকারীকে আটক করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে বাইপাস সড়কে ছিনতাইয়ের অভিযোগে পুলিশ সদস্যকে গণধোলাই দিয়ে আটকে রেখা হয়। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে সিভিল পোশাকে এক পুলিশ সদস্যসহ দুইজনকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে এক জোড়া হ্যান্ডকাফ জব্দ করা হয়।
তিনি বলেন, আটক পুলিশ কনস্টেবল মামুন শেখকে গত ১৫ সেপ্টেম্বর ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা থেকে রিজার্ভ পুলিশে নেওয়া হয়। তারপর দুই দিন পর তাকে ডিএমপিতে বদলি করা হয়। সে সেখানে যোগদান না করে অনুপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে অভিযোগ অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জহির হোসেন/এএমকে