হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক

হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক

সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তাকে ছাড়পত্র (ডিসচার্জ) দিয়েছে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 

সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তাকে ছাড়পত্র (ডিসচার্জ) দিয়েছে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে ছাড়পত্র দেওয়া  হয়। পরে কড়া নিরাপত্তায় হাসপাতাল থেকে মানিককে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়েছে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে সাবেক বিচারপতি মানিকের চিকিৎসা সংক্রান্ত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান শিশির চক্রবর্তী বলেন, সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এখন সুস্থ। তিনি এখন অনেকটা স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারেন। সেজন্য তার সার্বিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সব প্রস্তুতি শেষে তাকে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শামসুদ্দিন মানিকের হার্টে সমস্যা আছে। ১০ বছর আগে বাইপাস সার্জারি করেছিলেন। এছাড়া ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ আছে।

 প্রসঙ্গত ,গত ২৩ আগস্ট রাতে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ডোনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে আটক করে বিজিবি। পর দিন শনিবার (২৪ আগস্ট) সকালে তাকে কানাইঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়। ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ওই দিন বিকেলে আদালতে হাজির করলে সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আলমগীর হোসাইন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সেদিন আদালতে প্রবেশের সময় আদালত প্রাঙ্গণে শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে ডিম ছোড়ার পাশাপাশি জুতাও নিক্ষেপ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় তাকে বেধড়ক কিল-ঘুষি মারা হয়। এতে তার অণ্ডকোষেও গুরুতর আঘাত লাগে। আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পর সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মাসুদ আহমদ রনি/আরএআর

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *