জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পদে শতভাগ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের পদায়নসহ সাত দফা দাবিতে কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে হামলার শিকার হন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসাররা। গত মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে তাদের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচিতে হামলা চালায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের একটি গ্রুপ।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পদে শতভাগ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের পদায়নসহ সাত দফা দাবিতে কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে হামলার শিকার হন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসাররা। গত মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে তাদের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচিতে হামলা চালায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের একটি গ্রুপ।
এর প্রতিবাদে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কল্যাণ সমিতি। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, প্রতি জেলা-উপজেলায় মানববন্ধন, ঢাকায় মানববন্ধন শেষে শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবের কাছে স্মারকলিপি প্রদান।
নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কল্যাণ সমিতির সভাপতি লিয়াকত আলী বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে ন্যাক্কারজনক হামলা চালানো হয়েছে। এর প্রতিবাদে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর বেলা ১১ থেকে ১২টা পর্যন্ত সারাদেশে মানববন্ধন, স্ব স্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং জেলা সদরে জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে শিক্ষা উপদেষ্টা ও সিনিয়র সচিবের কাছে স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পালিত হবে।
তিনি বলেন, আমরা সুদীর্ঘ বঞ্ছনার অতীত নতুন বাংলাদেশে স্বাধীনভাবে নিশ্বাস ফেলার সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রেতাত্মা সর্বত্র অবস্থান করছে। সম্প্রতি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সহকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও অন্যান্য শিক্ষা প্রশাসনের পদে পদায়নের লক্ষ্যে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।
ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রেতাত্মারা বিগত ১৬ বছর দেশটাকে লুটেপুটে খেয়েছে এবং ভবিষ্যতে খাওয়ার জন্য শিক্ষা প্রশাসনে বিভিন্ন পদে পদায়নের আন্দোলন শুরু করেছে।
এই অপচেষ্টার প্রতিবাদে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। সারাদেশে এ কর্মসূচি পালন করতে সব উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের বলা হয়েছে।
এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর শিক্ষা ভবনে বিভিন্ন দাবি নিয়ে কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকরা। তাদের কর্মসূচি ঘিরে দিনভর উত্তেজনা গড়ায় হাতাহাতি ও কিল-ঘুষিতে।
পুরো ঘটনার জন্য সহকারী শিক্ষকদের দায়ী করেছেন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসাররা। তারা বলেন, আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে তারা অর্তকিতভাবে ঢুকে হামলা চালিয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) প্রশাসন ও অন্যান্য নিয়মকানুন মেনে আমরা কর্মসূচি করেছি। যারা কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে তাদের বিচার চাই।
এনএম/এসএম