সম্প্রতি এক কেশসজ্জা শিল্পীর আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা নজর কেড়েছে টলিপাড়ায়। সোমবার ডিরেক্টর্স গিল্ডের এক সভায় ইন্ডাস্ট্রির সমস্ত বিভাগের নিরাপত্তা, কাজ কেড়ে নেওয়ার চেষ্টার প্রতিবাদে এবং কাজের উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলার স্বার্থে টেকনিশিয়ান স্টুডিওয় একজোট হওয়ার বার্তা পৌঁছেছিল শিল্পীদের কাছে।
সম্প্রতি এক কেশসজ্জা শিল্পীর আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা নজর কেড়েছে টলিপাড়ায়। সোমবার ডিরেক্টর্স গিল্ডের এক সভায় ইন্ডাস্ট্রির সমস্ত বিভাগের নিরাপত্তা, কাজ কেড়ে নেওয়ার চেষ্টার প্রতিবাদে এবং কাজের উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলার স্বার্থে টেকনিশিয়ান স্টুডিওয় একজোট হওয়ার বার্তা পৌঁছেছিল শিল্পীদের কাছে।
এদিন সংবাদ মাধ্যমের সামনে কেশসজ্জা শিল্পীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া অন্যায়ের তীব্র প্রতিবাদ জানান সংগঠনের সভাপতি সুব্রত সেন, সম্পাদক সুদেষ্ণা রায়, পরিচালক ইন্দ্রনীল রায় চৌধুরীরা। কিন্তু এই বৈঠকে হঠাৎ মেজাজ হারালেন শ্রীলেখা।
শ্রীলেখা মিত্র বলেন, ‘চার বছর আগে তো আমি এই থ্রেট কালচার, ফেভারিটিজম নিয়ে কথা বলেছিলাম। আমাকে কি এই মেয়েটার মতো গায়ে আগুন দিয়ে প্রমাণ করতে হত আমি যা বলছি সেটা ঠিক কথা বলছি। এই কালচারটা আছে, যারা পাওয়ারে থাকে, যারা পাওয়ারে আছে তারা ঠিক করে কাজ করবে। এখানে ট্যালেন্টের নিরিখে, কাজের নিরিখে কাজ দেওয়া হয় না। তুমি ডিরেক্টরের কাছে লোক কিনা, তুমি প্রযোজকের কাছের লোক কি না, কিংবা কোনও গোষ্ঠীর কাছের লোক কি না সেই হিসেবে কাজ দেওয়া হয়।’
এ অভিনেত্রীর ভাষ্য, ‘চার বছর আগে আমি এই কথাগুলো বলেছিলাম। দিনের পর দিন এই মেয়েটিকে কাজ করতে দেওয়া হয়নি। এখানে মেরিট বিচার করে কাজ করতে দেওয়া হয় না এমনটা নয়। অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও নিজেদের মধ্যে খাওয়া খায়ি করতে ব্যস্ত। আরজি করের ঘটনা যেমন সবাইকে নাড়া দিয়ে গেল, তেমনই আরেকজন মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসার পর সবাই কথা বলছে।’
শেষে তিনি বলেন, ‘আমি সময়ের আগে বলেছিলাম। যার জন্য বেশ কিছু মানুষ… অনেক বড় হিরোইন, যাকে প্রতিবাদের মুখ হিসেবে মানুষ ধরছে। তিনি বলেছিলেন, আমি স্লাট শেমিং করছি। আমি তো সম্পর্কের কথা বলেছিলাম। তার কাছে হয়ত সম্পর্ক মানে স্লাট শেমিং।’
এমআইকে