বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ভারত যখন দেখলো শেখ হাসিনা পালিয়েছে, তখন পানির গেট খুলে দিল। আর পানিতে ফেনী-নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুর-মৌলভীবাজারসহ দক্ষিণাঞ্চল ভেসে গেল। অর্থাৎ ভারত মানুষের বন্ধু না। এরা একটি দল, একটি পরিবারের বন্ধু। বাংলাদেশের মানুষের পাশে তারা মুখে মুখে আছে। কিন্তু কর্মে তারা বাংলাদেশের মানুষকে সব সময় কষ্ট দেয়। আর মানুষ যখন কষ্টে থাকে, তখন যে দলটি পাশে থাকে তার নাম বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ভারত যখন দেখলো শেখ হাসিনা পালিয়েছে, তখন পানির গেট খুলে দিল। আর পানিতে ফেনী-নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুর-মৌলভীবাজারসহ দক্ষিণাঞ্চল ভেসে গেল। অর্থাৎ ভারত মানুষের বন্ধু না। এরা একটি দল, একটি পরিবারের বন্ধু। বাংলাদেশের মানুষের পাশে তারা মুখে মুখে আছে। কিন্তু কর্মে তারা বাংলাদেশের মানুষকে সব সময় কষ্ট দেয়। আর মানুষ যখন কষ্টে থাকে, তখন যে দলটি পাশে থাকে তার নাম বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে বাঞ্চানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (বোর্ড স্কুল) সামনে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে বন্যার্তদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পরে তিনিসহ অতিথিরা বন্যায় দুর্গতদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।
জাহিদ বলেন, পানি নেমে যাচ্ছে। তবে সব ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। পানি সব সম্পদ নিয়ে গেল। গরু-ছাগল নিয়ে গেল। আমাদের ৭০ জনের বেশি মানুষ শাহাদাৎবরণ করেছেন। বিএনপি ক্ষমতায় নেই। ক্ষমতায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে আমরা বলবো- বানভাসি মানুষের পুনর্বাসনের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে বিএনপিও সাধ্যমতো নেতাকর্মীদের নিয়ে আপনাদের পাশে দাঁড়াবে।
তিনি বলেন, যখন তারা পালিয়ে গেলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আপনাদেরকে পাশে নিয়ে যুদ্ধ করলেন। তিনি রণাঙ্গনে থাকলেন, অর্থাৎ আপনাদের পাশে থাকলেন। একইভাবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আপনাদের পাশে থেকেছেন, এখান থেকে নির্বাচনও করেছেন। বিএনপি সব সময় জনগণের পাশে আছে। জনগণের প্রয়োজনে বেগম খালেদা জিয়াও নেতাকর্মীদের নিয়ে পাশে ছিলেন। তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপিসহ প্রতিটি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন মানবসৃষ্ট বন্যায় বানভাসি মানুষের পাশে রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতিতে যতদিন প্রয়োজন ততদিন দুর্গতদের পাশে থাকবে বিএনপি।
জাহিদ আরও বলেন, বিগত স্বৈরাচারের দোসর ও ষড়যন্ত্রকারীরা বসে নেই। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে, তার দোসররা এ দেশে আছে। কাজেই আপনারা আমরা ঘুমিয়ে থাকলে চলবে না। আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে। শেখ হাসিনার দোসর যারা আছে, তারা ষড়যন্ত্র যতই করুক, আমরা সবাই মিলে ছাত্র-জনতার যৌথ উদ্যোগে বিএনপির নেতৃত্বে সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেব। বাংলাদেশ সামনের দিকে এগুবে।
কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসানের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু।
এ সময় লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক হাছিবুর রহমান, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাঈন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ, লক্ষ্মীপুর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান লিটন, সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মহসিন কবির স্বপন, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ ও জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুনসহ কেন্দ্রীয় ও স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
হাসান মাহমুদ শাকিল/আরএআর