২০২২ সালে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক সভায় হামলার ঘটনায় ফরিদপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জিয়াউল হাসান মিঠুসহ (৫৫) ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ২০০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
গতকাল ফরিদপুর দ্রুত বিচার আদালতে হামলা ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শহরের গুহলক্ষ্মীপুর মহল্লার বাসিন্দা মো. মোজাম্মেল হোসেন (৩৭)।
ফরিদপুর দ্রুত বিচার আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাওন হোসেনের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এ মামলার আইনজীবী হেমায়েত হোসেন বলেন, অভিযোগটি আমলে নিয়ে সরাসরি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ফরিদপুর শাখার উদ্যোগে অম্বিকা মেমোরিয়াল হলে কর্মী সভার আয়োজন করা হয়। ওই সভা উপলক্ষ্যে জেলার বিভিন্ন উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সভা চলাকালীন সময়ে বিকেল ৪টার দিকে জেলা যুবলীগের আহ্বায়কের নেতৃত্বে সভায় হামলা চালানো হয়।
ওই হামলার ঘটনাতে দায়ের হওয়া এই মামলায় নগরকান্দা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল কাজী, নগরকান্দার ফুলসূতী ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আরিফ হোসেন মিয়া, নগরকান্দা উপজেলা পৌর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজাদ হোসেনের নাম রয়েছে।
এ ছাড়া আসামি করা হয়েছে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামকেও।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে নগরকান্দা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল কাজী ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ ঘটনার আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। আমি নগরকান্দার মানুষ হয়ে ফরিদপুরে গিয়ে কীভাবে হামলা করবো।
নগরকান্দা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল কাজী ও ফুলসূতী ইউপি চেয়ারম্যানের নাম আসামি হিসেবে যুক্ত করার বিষয়ে জানতে চাইলে এ মামলার বাদী ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের বর্তমান আহ্বায়ক মোজাম্মেল হোসেন বলেন, এরা প্রধান আসামি জিয়াউল হাসানের অর্থের জোগানদাতা এবং জিয়াউলকে ওনারা সার্বিকভাবে সহায়তা করেছেন। হামলার দিন তারা অম্বিকা হল সংলগ্ন বিদ্যুৎ অফিসে বসা ছিলেন। এজন্য তাদের নাম দেওয়া হয়েছে।
জহির হোসেন/এনএফ