স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীর যাবজ্জীবন ও ভায়রার মৃত্যুদণ্ড

স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীর যাবজ্জীবন ও ভায়রার মৃত্যুদণ্ড

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পরকীয়ার জেরে বাচ্চু মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রীকে যাবজ্জীবন ও ভায়রাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ের ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পরকীয়ার জেরে বাচ্চু মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রীকে যাবজ্জীবন ও ভায়রাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ের ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা দায়রা জজ শারমীন নিগার এ রায় দেন।

দণ্ডিতরা হলেন– বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী রিনা বেগম ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বাড়াইলচর গ্রামের তুজু মিয়া মোল্লার ছেলে রফিকুল ইসলাম।

এদের মধ্যে রিনা বেগমকে ফের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর রফিকুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারির আদেশ দেওয়া হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে ১১ অক্টোবর বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বড়াইলচর গ্রামের হারিছ মিয়ার ছেলে ব্যবসায়ী বাচ্চু মিয়ার মরদেহ খল্লা গ্রামের একটি কলাবাগানে পাওয়া যায়। এ ঘটনায় বাচ্চু মিয়ার ভাই আলমগীর মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে বাঞ্ছারামপুর থানায় মামলা করেন। প্রথমে থানা পুলিশ ও পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মামলার তদন্ত করে। তদন্ত শেষে আদালতে দেওয়া অভিযোগপত্রে রফিকুল ইসলাম এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, রিনা বেগমের সঙ্গে তার খালাতো বোনের স্বামী রফিকুলের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। সেসময় রিনা বেগমকে বিয়ের প্রস্তাব দেন রফিকুল। তখন রিনা বেগম জানান, বাচ্চু মিয়াকে হত্যা করতে পারলে রফিকুলকে বিয়ে করবেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাচ্চু মিয়াকে একটি মোটরসাইকেলে করে নির্জন স্থানে নিয়ে যান রফিকুল। এরপর প্রথমে গলায় গামছা পেঁচিয়ে এবং পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে হত্যা করেন।

ঘটনার পর অন্যদের মতো রফিকুলও বাচ্চু মিয়াকে খুঁজতে থাকেন। এলাকাবাসী সন্দেহবশত তাদের দুজনকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পরে তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

মাজহারুল করিম অভি/এসএসএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *