একটা সময় ছিলেন পাকিস্তানের পেস বোলিং লাইনআপের ভরসা। তবে শাব্বির আহমেদের ক্যারিয়ারটা সেই অর্থে বড় হতে পারেনি। প্রতিভার আলো ছড়ালেও পাকিস্তানের পেস বিভাগ থেকে শাব্বির বিদায় নিয়েছিলেন বেশ আগেই। তবে ক্রিকেট থেকে একেবারেই সরে যাননি। ছিলেন ঘরোয়া ক্রিকেটের কোচ। কিন্তু সেই পদও ছাড়লেন স্বজনপ্রীতি আর পক্ষপাতের অভিযোগ এনে।
একটা সময় ছিলেন পাকিস্তানের পেস বোলিং লাইনআপের ভরসা। তবে শাব্বির আহমেদের ক্যারিয়ারটা সেই অর্থে বড় হতে পারেনি। প্রতিভার আলো ছড়ালেও পাকিস্তানের পেস বিভাগ থেকে শাব্বির বিদায় নিয়েছিলেন বেশ আগেই। তবে ক্রিকেট থেকে একেবারেই সরে যাননি। ছিলেন ঘরোয়া ক্রিকেটের কোচ। কিন্তু সেই পদও ছাড়লেন স্বজনপ্রীতি আর পক্ষপাতের অভিযোগ এনে।
শাব্বির দেরা গাজি খান অঞ্চলের প্রধান কোচ ছিলেন। যেখানে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল দেশী ক্রিকেটারদের তুলে আনা এবং তাদের উন্নতির জন্য। কিন্তু কাজের পরিবেশ দূষিত হওয়ায় পদত্যাগ করেছেন তিনি। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাবেক এই পেসার বলেন, ‘পাকিস্তানের ক্রিকেটে উন্নতি সম্ভব নয়। এখানে যোগ্যতার বিচারে ক্রিকেটার নেওয়া হয় না। আঞ্চলিক পর্যায়ের ক্রিকেটে স্বজনপ্রীতি হয়। পক্ষপাত করেন ক্রিকেট কর্তারা।’
নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে তার বক্তব্য, ‘আমি যা দেখেছি তা খুবই ভয়াবহ। একজন খেলোয়াড় যে কিনা সারাবছর পরিশ্রম করেছে আর ভালো প্রতিভাও আছে, বছর শেষে তাকে নির্বাচন করা হয় না। নির্বাচিত হয় যার রাজনৈতিক পরিচয় আর অন্যান্য জায়গায় যোগাযোগ রয়েছে।’
বাংলাদেশের কাছে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ হারেও বিষ্মিত নন সাবেক এই পেসার। খানিকটা ক্ষোভের সুরেই শাব্বির বলেন, ‘যে কোচেরা সত্যি কাজ করতে চান, তারাও পারেন না। তাদের কাজ করতে দেওয়া হয় না।’
আইসিসির সবশেষ টেস্ট র্যাংকিং অনুযায়ী পাকিস্তান এখন অষ্টম স্থানে। বুধবার যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে মাত্র ৭৬ পয়েন্ট পেয়েছে পাকিস্তান। ১৯৬৫ সালের পর এত কম পয়েন্টে কখনও নেমে যায়নি তারা। আর এমন ভরাডুবির পরেই বড় অভিযোগ নিয়ে স্থানীয় কোচের পদ থেকে সরে গেলেন শাব্বির আহমেদ।
জেএ