স্কুলে ভর্তি প্রক্রিয়ায় এবারও লটারি পদ্ধতি

স্কুলে ভর্তি প্রক্রিয়ায় এবারও লটারি পদ্ধতি

সরকারি-বেসরকারি স্কুলে এ বছরও লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি প্রক্রিয়া বহাল থাকছে। 

সরকারি-বেসরকারি স্কুলে এ বছরও লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি প্রক্রিয়া বহাল থাকছে। 

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ‘ভর্তি নীতিমালা সংশোধন’ নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিষয়টি শিক্ষা উপদেষ্টাকে জানানো হবে। তিনি সম্মতি দিলে ভর্তি নীতিমালা চূড়ান্ত করে প্রকাশ করা হবে।

 সভায় অংশ নেওয়া মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সভায় লটারি নাকি পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি করা হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় এবারও লটারি পদ্ধতি রাখার পক্ষে মতামত দেন অধিকাংশ সদস্য। ফলে লটারি পদ্ধতিতে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিষয়টি শিক্ষা উপদেষ্টাকে অবগত করা হবে। তিনি চূড়ান্ত অনুমোদন দিলে নীতিমালা আকারে তা প্রকাশ করা হবে।

নাম-পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষক বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যে কয়জন প্রতিনিধি অংশ নিয়েছিলেন, তারা সবাই পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তির পক্ষে মতামত দেন। তবে শিক্ষা প্রশাসন ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা কমিটিতে বেশি। তাদের অধিকাংশই লটারি বহাল রাখার পক্ষে মত দেন। ফলে লটারির মাধ্যমে ভর্তির সিদ্ধান্তই বহাল থাকছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, ভাগ্যের ওপর নির্ভর করে ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো উচিত নয়। প্রাথমিক স্তরে অর্থাৎ, প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় শ্রেণিতে এটা ঠিক আছে। তার ওপরের ক্লাসে অবশ্যই মূল্যায়ন বা পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির নিয়ম থাকা উচিত। আশা করি, আগামী বছর সেটি বাস্তবায়ন হবে।’

সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোতে কয়েক বছর ধরে ভর্তির ক্ষেত্রে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করে আসছে সরকার। এবার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অভিভাবকদের পক্ষ থেকে দাবি ওঠে, পরীক্ষার মাধ্যমে মেধা যাচাই করে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হবে। তাদের সেই দাবি পর্যালোচনা করে ভর্তি নীতিমালা সংশোধনে বৃহস্পতিবার সভা ডাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেখানে লটারি পদ্ধতি বহাল রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

গত বছর ৬৫৮টি সরকারি বিদ্যালয়ে শূন্য আসন ছিল এক লাখ ১৮ হাজার ১০১টি। বিপরীতে আবেদন করেছিল ৫ লাখ ৬৩ হাজার ১৩ জন। অন্যদিকে তিন হাজার ১৮৮টি বেসরকারি বিদ্যালয়ে শূন্য আসন ছিল ১০ লাখ তিন হাজার ৯৯৩টি। বিপরীতে আবেদন জমা পড়ে তিন লাখ ১০ হাজার ৭৭৯টি। এবার কিছু আসন বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে মাউশি সূত্র।

এমএসআই/এসএম

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *