সোনাদিয়া দ্বীপের ম্যানগ্রোভ বন ধ্বংসকারীদের চিহ্নিত করার নির্দেশ

সোনাদিয়া দ্বীপের ম্যানগ্রোভ বন ধ্বংসকারীদের চিহ্নিত করার নির্দেশ

কক্সবাজারের মহেশখালীর সোনাদিয়া দ্বীপ ও আশপাশের এলাকায় বিস্তৃত ম্যানগ্রোভ বন ধ্বংসের কার্যক্রম বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ম্যানগ্রোভ বন ধ্বংসের কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে ৯০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কক্সবাজারের মহেশখালীর সোনাদিয়া দ্বীপ ও আশপাশের এলাকায় বিস্তৃত ম্যানগ্রোভ বন ধ্বংসের কার্যক্রম বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ম্যানগ্রোভ বন ধ্বংসের কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে ৯০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পরিবেশ সচিব, বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, প্রধান বন সংরক্ষক, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ ১৩ জন বিবাদীকে নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) এক রিটের প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি ফাতেমা নজিব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সাদ্দাম হোসেন। ধ্বংসের হাত থেকে সোনাদিয়া দ্বীপও আশপাশের এলাকায় বিস্তৃত ম্যানগ্রোভ বন রক্ষায় বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এর ৫ ধারা অনুসারে ধ্বংসের হাত থেকেএই ম্যানগ্রোভ বন রক্ষার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। 

আইনজীবী শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, ১৯৯৯ সালে সরকার সোনাদিয়া দ্বীপকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করে। সম্প্রতি এই দ্বীপ ও আশপাশের এলাকা, যেমন- ঘটিভাংগা, তাজিয়াকাটা ও হামিদার দিয়া এলাকার ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট ধ্বংস করে অবৈধ চিংড়ি ঘের তৈরির মহাযজ্ঞ চলছে। এই বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেই। হাইকোর্টের আদেশের ফলে ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পাবে বলে আশা করি।” 

সোনাদিয়া দ্বীপ ও আশপাশের এলাকায় বিস্তৃত ম্যানগ্রোভ বন ধ্বংসের কার্যক্রম বন্ধে ও অবৈধ চিংড়িঘের উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে গত ২৯ আগস্ট বিবাদীদের আইনি নোটিশ দেন আইনজীবী মো. রহিম উল্লাহ, মহেশখালী উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য এম আজিজ সিকদার, মো. ইউনুস ও সিরাজুল মোস্তফাসহ ১২ জন। 

নোটিশে সোনাদিয়া দ্বীপে ম্যানগ্রোভ বন ধ্বংসের কার্যক্রম বন্ধ ও অবৈধ চিংড়িঘের উচ্ছেদে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হয়। সাড়া না পেয়ে হাইকোর্ট রিট করেন তারা। 

এমএইচডি/এসএম

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *