সুনামগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কর্মসূচি এবং যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করেছেন সুনামগঞ্জের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুর ১২টায় শহরের শাপলা চত্বরে শতাধিক শিক্ষার্থী একত্রিত হয়। পরে তিনটি দলে ভাগ হয়ে কাজ করেন তারা। এ সময় একটি দল শহরের ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করেন এবং বাকি দুটি দলকে আলাদা হয়ে রাস্তা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে দেখা যায়।
সুনামগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কর্মসূচি এবং যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করেছেন সুনামগঞ্জের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুর ১২টায় শহরের শাপলা চত্বরে শতাধিক শিক্ষার্থী একত্রিত হয়। পরে তিনটি দলে ভাগ হয়ে কাজ করেন তারা। এ সময় একটি দল শহরের ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করেন এবং বাকি দুটি দলকে আলাদা হয়ে রাস্তা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে দেখা যায়।
সরজমিনে দেখা যায়, দুপুর ১২টা থেকে সুনামগঞ্জ পৌরসভা, জেলা প্রশাসকের বাসভবনের সামনের রাস্তা, ট্রাফিক পয়েন্ট ও পুরাতন বাস স্টেশন হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গা পরিষ্কার করছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শহরের ব্যস্ততম রাস্তার যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতেও দেখা গেছে তাদের। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মী, সাংস্কৃতিককর্মী ও সাধারণ মানুষও অংশ নেন।
অটোরিকশাচালক মোহন ঢাকা পোস্টকে জানান, যাদের হাতে কলম আর কাঁধে বইয়ের ব্যাগ থাকার কথা ছিলো আজকে তারা হাতে নিয়েছে ঝাড়ু আর কাঁধে নিয়েছে ময়লার বস্তা। তারা খুব ভালো কাজ করছে।
পথচারী মইনুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে জানান, শহরে যে ট্রাফিক পুলিশ নেই, তা বোঝা যাচ্ছে না। ছাত্ররা খুব সুন্দরভাবে সড়কের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। আজকে অন্য দিনের তুলনায় রাস্তায় যানজট কম।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ঢাকা পোস্টকে জানান, আমাদের সবার একটাই লক্ষ্য, নিজের শহর পরিষ্কার করা। সুনামগঞ্জ শহরের শতাধিক শিক্ষার্থী আজ শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট পরিষ্কার করতে ব্যস্ত সময় পার করেন। আমরা শহরের রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা আবর্জনা রাস্তা থেকে পরিষ্কার করেছি। আমাদের সিনিয়র যারা আছেন তারা ট্রাফিকের ভূমিকায় রাস্তায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেছেন। আমরা চাই, আমাদের দেশ একটা সুন্দর নিয়মে চলুক। ভেদাভেদ ভুলে আমারা একত্রে কাজ করার শপথ নিই। আমরা একটা সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করি।
রায়হান আলীম তামিম/এএমকে