সিলেট স্ট্রাইকার্সের মালিকানা দখলের অভিযোগে মাশরাফির নামে মামলা

সিলেট স্ট্রাইকার্সের মালিকানা দখলের অভিযোগে মাশরাফির নামে মামলা

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দল সিলেট স্ট্রাইকার্সের মালিকানা জোরপূর্বক দখলের অভিযোগে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দল সিলেট স্ট্রাইকার্সের মালিকানা জোরপূর্বক দখলের অভিযোগে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

ফ্র্যাঞ্চাইজিটির সাবেক মালিক সারোয়ার চৌধুরী রাজধানীর পল্লবী থানায় বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। মামলার ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে মাশরাফিকে।

সারোয়ার চৌধুরীর দাবি, জোরপূর্বক তার কাছ থেকে সিলেট স্ট্রাইকার্সের মাদার প্রতিষ্ঠান ফিউচার স্পোর্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের মালিকানা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেছেন, মাশরাফির কার্যালয়ে বসে হেলাল বিন ইউসুফ শুভ্র নামে সিলেট স্ট্রাইকার্সের আরেক মালিক তার মাথায় রিভলবার ঠেকিয়ে রাখেন।

মামলায় আসামি করা হয়েছে যথাক্রমে মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা, হেলাল বিন ইউসুফ শুভ্র, মো. ইমাম হাসান, অজ্ঞাত (রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানির এক কর্মকর্তা), কে এম রাসেল, বাবলু ও অজ্ঞাতসহ মোট ৮ জনকে।

উল্লেখ্য, মাশরাফির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী সারোয়ারের পরিচয় মামলার দুই নম্বর আসামি হেলাল বিন ইউসুফের মাধ্যমে। দুজনের আমন্ত্রণে বিপিএলে দল কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেন সারোয়ার। এরপর ‘ফিউচার স্পোর্টস বাংলাদেশ লিমিটেড’ নামে একটি জয়েন্ট স্টক কোম্পানির নিবন্ধন করেন সারোয়ার। ৬০ শতাংশ শেয়ার নিয়ে যার চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। বাকি ৪০ শতাংশ শেয়ার নিয়ে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হন মামলার তিন নম্বর আসামি ইমাম হাসান। 

ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মাশরাফির নামে নড়াইলে আরও একটি মামলা হয়েছে। কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় মিছিলে হামলা, গুলি ছোড়া ও মারধরের অভিযোগে করা এ মামলায় মাশরাফি ছাড়াও তার বাবা গোলাম মোর্ত্তজা স্বপনসহ আওয়ামী লীগের ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয়ে আসামি করা হয় ৪০০-৫০০ জনকে।

এফআই

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *