সিলেটে একদিনে বজ্রপাতে ৫ জনের মৃত্যু

সিলেটে একদিনে বজ্রপাতে ৫ জনের মৃত্যু

সিলেটে একদিনে পৃথক বজ্রপাতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দিনের বিভিন্ন সময় কানাইঘাট, জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জে এসব ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে কানাইঘাটে দুইজন, জৈন্তাপুরে দুইজন ও কোম্পানীগঞ্জে একজন মৃত্যুবরণ করেন।

সিলেটে একদিনে পৃথক বজ্রপাতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দিনের বিভিন্ন সময় কানাইঘাট, জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জে এসব ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে কানাইঘাটে দুইজন, জৈন্তাপুরে দুইজন ও কোম্পানীগঞ্জে একজন মৃত্যুবরণ করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কানাইঘাট উপজেলায় বজ্রপাতে মারা যান দুইজন। তারা হলেন– লক্ষীপ্রসাদ ইউনিয়নের কেউটিহাওর গ্রামের জমশেদ আলীর ছেলে কালা মিয়া (৩৫) এবং কানাইঘাট পৌরসভার উত্তর দলইরমাটি গ্রামের তুতা মিয়ার ছেলে নূর উদ্দিন (৫৮)।

কেউটিহাওর গ্রামের কালা মিয়া (৩৫) শনিবার দুপুর ২টার দিকে বাড়ির পাশে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে আক্রান্ত হন। আর বিকেল ৩টার দিকে উত্তর দলইরমাটি গ্রামের নূর উদ্দিন (৫৮) বাড়ির পাশে মাঠে কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতের শিকার হন।

এই দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা নাসরীন বলেন, বজ্রপাতে পৃথক স্থানে দুই ব্যক্তি মারা গেছেন বলে জেনেছি। আমরা তাদের তথ্য যাচাই-বাছাই করে সহায়তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।

এদিকে দুপুরে জৈন্তাপুর ইউনিয়নের আগফৌদ গ্রামের নূরুল হকের ছেলে নাহিদ আহমদ (১৩) ও একই ইউনিয়নের ভিত্রিখেল ববরবন্দ গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে আব্দুল মান্নান মনই (৪৫) বজ্রপাতে মারা গেছেন।

জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, বজ্রপাতে মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রস্তুত করা হয়েছে।

ঘটনাটি দুঃখজনক উল্লেখ করে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তিনি বজ্রবৃষ্টি চলাকালে সবাইকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার অনুরোধ জানান।

এছাড়া কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পুটামারা গ্রামে বজ্রপাতে নেজামুল হক (২১) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। দুপুর ২টায় উপজেলার ইছাকলস ইউনিয়নের পুটামারা (পশ্চিম পাড়া) গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি ওই গ্রামের আরফান আলীর ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নেজামুল হক আবহাওয়ার অবস্থা খারাপ দেখে বাড়ির পাশের হালছাবড়া হাওর থেকে হাঁস বাড়িতে নিয়ে আসার সময় বজ্রপাতের কবলে পড়ে ঘটনাস্থলে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে আহত অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

কোম্পানীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক ও ইউনিয়ন বিট অফিসার মনজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, নেজামুলের মরদেহ এমএজি ওসমানী হাসপাতালে রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

মাসুদ আহমদ রনি/এসএসএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *