যশোর সদর উপজেলার একটি ইটভাটার পাশ থেকে নূর নাজমা (৩৫) নামে এক গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে চাচড়াঁ ইউনিয়নের গোয়ালদাহ গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়া।
যশোর সদর উপজেলার একটি ইটভাটার পাশ থেকে নূর নাজমা (৩৫) নামে এক গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে চাচড়াঁ ইউনিয়নের গোয়ালদাহ গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়া।
নিহতের চাচাতো ভাই মোহাম্মদ শাওন বলেন, আজ বিকেল ৩টের দিকে তার বোন নুর নাজমা গ্রামের একটি ইটভাটার পাশে গরু আনতে যান। বিকেল ৪টার দিকে ওই এলাকার শীলা নামে এক গৃহবধূ সেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় তার বোনকে দেখতে পেয়ে বাড়িতে খবর দেন। আত্মীয়-স্বজন এবং স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। এরপর খবর দেওয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
শাওন আরও বলেন, তার বোনের স্বামী সালাউদ্দিন গাজী (৪১) একজন মাদকাসক্ত। ইতিপূর্বে ব্যবসা করার জন্য তাকে কয়েক দফা টাকা-পয়সা দিয়েছেন তার বোন। সর্বশেষ তাকে একটি রিকশা কিনে দেওয়া হয়। কিন্তু সে রিকশাটিও বিক্রি করে এবং নেশা করে সব শেষ করে দিয়েছেন। সেই কারণে বছরখানেক আগে স্বামীকে তালাক দেন তার বোন। কিন্তু সালাউদ্দিন গাজী প্রায়ই গোয়ালদাহে আসতো এবং বোনের সঙ্গে সংসার করতে চাইতো। আজ (শুক্রবার) সকালেও সে আসে এবং বোনকে শাসিয়ে যান।
বোনের সাবেক স্বামী সালাউদ্দিন গাজী তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে ধারণা করছে পরিবার। এ সময় তার বোনের গলায়, পেট, হাতসহ বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলেও জানান শাওন।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) জুয়েল ইমরান বলেন, কে বা কারা কেন তাকে হত্যা করেছে, তা এখনও জানা যায়নি। শুনেছি, নাজমার প্রাক্তন স্বামী তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। পুলিশ তাকে আটকে অভিযান শুরু করেছে। আটক করা গেলে হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত জানা যাবে।
এ্যান্টনি দাস অপু/এএমকে