অনিয়ম ও ভূমি দখলের সংবাদ প্রকাশের জেরে দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন নোয়াখালীর সাংবাদিক আব্দুর রহিম বাবুল। মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) দীর্ঘ শুনানি শেষে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. জহিরুল কবির এ রায় ঘোষণা করেন।
অনিয়ম ও ভূমি দখলের সংবাদ প্রকাশের জেরে দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন নোয়াখালীর সাংবাদিক আব্দুর রহিম বাবুল। মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) দীর্ঘ শুনানি শেষে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. জহিরুল কবির এ রায় ঘোষণা করেন।
জানা যায়, ২০২০ সালে বেগমগঞ্জ উপজেলার আলিপুরে জায়গা ও কবর দখল-সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রচার করায় চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন নোয়াখালী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরণ। এতে এসএ টিভির নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি আব্দুর রহিম বাবুলসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়।
দীর্ঘ প্রায় চার বছর মামলা চলার পর মঙ্গলবার দীর্ঘ শুনানি শেষে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক সকল আসামিকে খালাস দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার সময় মামলার বাদী মামুনুর রশিদ কিরণ আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
বেকসুর খালাস পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন আব্দুর রহিম বাবুল। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, সত্য সংবাদ প্রকাশ করায় আমার বিরুদ্ধে মামুনুর রশীদ কিরণ আইসিটি মামলা দায়ের করেছেন। তিনি আমার সঙ্গে অন্যায় করেছেন। আমরা এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পেয়েছি। আদালত স্বাধীনভাবে বিচার কার্যক্রম পরিচালনার মধ্য দিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আমরা দেরিতে হলেও আদালতে ন্যায়বিচার পেয়েছি। ভবিষ্যতে যাতে কেউ এমন হয়রানিমূলক মামলার শিকার না হয়, এ জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিও জানান এই সাংবাদিক।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. নাজিম ও মো. ইব্রাহিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, মামলায় সাংবাদিক আব্দুর রহিম ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আদালতে প্রমাণিত হয়েছে। বিচারক দীর্ঘ পর্যবেক্ষণ, শুনানি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রায়ের মাধ্যমে সবাইকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। আমরা মনে করি, এই রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পাশাপাশি বিচার বিভাগ যে স্বাধীন প্রতিষ্ঠান, তা আবারও প্রমাণিত হলো।
হাসিব আল আমিন/এএমকে