গত কয়েক মাস ধরেই ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারছেন না সাকিব আল হাসান। সাদা বলের ক্রিকেটে যেমন রান পাচ্ছেন না, তেমনি লাল বলের ক্রিকেটেও তার ব্যাটে রানখরা। আর সাম্প্রতিক সময়ে বল হাতেও ধার হারিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। বয়স, ফিটনেস আর ফর্ম সবমিলিয়ে লম্বা আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষের শুরু করলেন সাকিব।
গত কয়েক মাস ধরেই ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারছেন না সাকিব আল হাসান। সাদা বলের ক্রিকেটে যেমন রান পাচ্ছেন না, তেমনি লাল বলের ক্রিকেটেও তার ব্যাটে রানখরা। আর সাম্প্রতিক সময়ে বল হাতেও ধার হারিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। বয়স, ফিটনেস আর ফর্ম সবমিলিয়ে লম্বা আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষের শুরু করলেন সাকিব।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আর দেখা যাবে না সাকিবকে। এই ফরম্যাট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। ভারতের বিপক্ষে কানপুর টেস্টের আগে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এসে সাকিব বলেছেন, ‘আমার মনে হয় টি-টোয়েন্টি তে আমি আমার শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছি।’]
সাদা পোশাকেও ক্যারিয়ারের ইতি টানার ইঙ্গিত দিয়েছেন সাকিব। সুযোগ পেলে দেশের মাটিতেই লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে চান দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আসন্ন সিরিজকেই নিজের বিদায়ের মঞ্চ হিসেবে পছন্দ সাকিবের। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেখুন, এখন পর্যন্ত আমি তো এভেলেবল। দেশে যেহেতু অনেক পরিস্থিতি আছে, সবকিছু অবশ্যই আমার ওপরে না। আমি বিসিবির সঙ্গে এসব নিয়ে আলোচনা করেছি। তাদেরকে বলা হয়েছে আমার কি পরিকল্পনা। এই সিরিজ আর হোম সিরিজটা আমি ফিল করেছিলাম আমার শেষ সিরিজ হবে, টেস্ট ক্রিকেটে স্পেশালি।
সাকিবের অবসর প্রসঙ্গে বিসিবির পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিম বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেটে তার অবদান আমরা সবাই জানি। হয়ত অনেকে সামনাসামনি স্বীকার করি না। সবার মনের মধ্যে সে কোনো না কোনোভাবে থেকে যাবে। কারও কাছে ইতিবাচকভাবে, কারও কাছে নেতিবাচকভাবে। ঘরের মাঠে শেষ টেস্ট খেললে, সবার ভালোবাসা নিয়ে অবসর নিলে ভালো হতো।’
সাকিব এখনও খেলা চালিয়ে যাওয়ার মতো ফর্মে আছেন বলেও মনে করেন ফাহিম, ‘দুটো টেস্টে তার যে ব্যাটিং দেখেছি, সাম্প্রতিক সময়ে এমন ব্যাটিং দেখিনি। ভেরি অরগানাইজড ব্যাটিং। যে পরিস্থিতিতে ব্যাট করেছে, সেটা আশাবাদী করে। সামনে হয়ত তাকে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলতে দেখব। আমার ধারণা সেখানে সে ভালো ব্যাটিং করবে।’
এসএইচ/এইচজেএস